জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রাথমিক টেট ২০১৭ ও ২০২২ প্রশ্ন ভুলে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করতে বলল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিক টেট-এর ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের।
আগামী সোমবার এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে, আদালত গঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি কমিটির ভুল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশ, আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর এই রিপোর্ট জমা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং সেই দিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে কোর্টের নির্দেশেই একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটিতে বিশ্বভারতী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক জন করে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সূত্রের খবর, সেই কমিটি ভুল প্রশ্ন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। ৭টি প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য তৈরি হয় কমিটির প্রতিনিধিদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, 'প্রশ্ন ভুল' মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু? প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল টেট অনুত্তীর্ণরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই। ।
কয়েকদিন আগেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজো মিটলেই নিয়োগ শুরু করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়। এই নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হোক তাঁদেরও, এই আবেদন জানিয়ে এবার হাই কোর্টের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনু্ত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর ভুল নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। রাজ্যের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় – প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সমাধানের জন্য।
গত জুলাই মাসে চার সপ্তাহের মধ্যে সেই কমিটির মতামত রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। ফলে আইনি জটে আটকে ওই দুই বছরের চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অথচ তাদের বেশিরভাগই ১ অথবা ২ নম্বরের জন্য টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে দাবি। তাই তাঁদের এবার অর্থাৎ ২০২৫-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক। অন্যথায় আগের জট না কাটা পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিক আদালত। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সময়ে রিপোর্ট দিতে না পারায় চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবেন কেন, মামলায় সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।