SIR হলে কাদের দিতে হবে না কোনও অতিরিক্ত নথি? জানাল নির্বাচন কমিশন
প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের পর এবার বাংলা-সহ দেশের ১২ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেই প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের এই মহাযজ্ঞ নিয়ে দেশবাসীর উদ্বেগের মাঝেই সোমবার আশ্বস্ত করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, কারা ছাড় পেতে চলেছে অতিরিক্ত নথিপত্রের ‘ঝঞ্ঝাট’ থেকে। কাদের বাড়তি কোনও কাগজ দিতে হবে না?
সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের ১২ রাজ্যে চালু হচ্ছে এসআইআর। যেগুলি হল, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ। এছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি। এই প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাবেন। সেই ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিতে হবে। তবে ২০০৩ সালের সূচিতে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের কোনও বাড়তি কাগজ দিতে হবে না। কারও নিজের নাম না থাকলেও, যদি বাবা-মায়ের নাম থাকে তাহলেও বাড়তি কাগজ জমা দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ভোটাররা শুধুমাত্র ফর্ম ফিলআপ করে দিলেই হবে।
নির্বাচন কমিশনার এদিন বলেন, “বিএলওরা বর্তমান ভোটারদের কাছে ফর্ম বিতরণ শুরু করার পর, যাঁদের নাম এনুমারেশন ফর্মে থাকবে তাঁরা সকলেই ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় তাদের নাম ছিল কিনা তা মেলানোর চেষ্টা করবেন। যদি তালিকায় নাম থাকে, তাহলে তাদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, যদি ভোটারদের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় না থাকে তাহলে তাঁদের নিজের বাবা অথবা মায়ের নাম খুঁজতে হবে ২০০৩ সালের তালিকায়। যদি কোনও ভোটার নিজের কোনও অভিভাবকের নামের সঙ্গে নিজের নাম মেলাতে না পারেন সেক্ষেত্রে তাঁকে কমিশন নির্ধারিত নথি জমা দিতে হবে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করার জন্য।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে এনুমারেশন ফর্ম ছাপা ও বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর। তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে তা জানাতে হবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।