• অনুপ্রবেশকারীদের হাতে জাল নথি! SIR-এ কীভাবে চিহ্নিত করবে কমিশন?
    প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতে চলেছে ২৩ বছর পর। শেষবার এই কাজটি হয়েছিল ২০০২ সাল থেকে থেকে ২০০৪ পর্যন্ত। মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে ফের সেই কাজ শুরু হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ধাপে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে হবে এসআইআর। কোন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ হবে, সোমবার বিকেলে দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। যে উদ্দেশে ভোটার তালিকায় এই বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সেই জাল নথি কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে? তার প্রাথমিক পদ্ধতি জানিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। একনজরে দেখে নিন কোন পদ্ধতিতে তা করবে কমিশন।

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হবে, তাতে ২০০৩ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয়ের নাম লিখতে হবে। সেই ফর্মে যদি কেউ নাম জানাতে না পারেন, তাহলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। সেসময় আবেদনকারী ও তাঁর পরিবার কোথায় ছিলেন, তা জানতে চাইবে কমিশন। তার সদুত্তর দিতে না পারলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হবে, আবেদনকারীর নথিপত্র সঠিক নয়, তা জাল করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে চলবে জাল নথি চিহ্নিতকরণের কাজ। সেক্ষেত্রে জেলাশাসক বা এসআইআরের কাজে নিযুক্ত সমমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে নথি যাচাই করানো হবে।

    এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এবং সম্ভাবনা থাকছে। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা অন্য কোনও অনিবার্য কারণে মা-বাবা কিংবা পারিবারিক গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গিয়েছে। তার নকল নথি এখনও হাতে আসেনি। সেক্ষেত্রে ফর্মপূরণের সময় কেউ তা উল্লেখ করতে পারছেন না। তবে কি তাঁকেও অবৈধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করবে কমিশন? নাকি নথি হাতে আসা পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে? তারপর তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত? যদিও একাংশের মত, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় বাংলাদেশিদের যাতায়াতের সংখ্যা কম নয়। আর এপারে এসেই তাঁরা কোনও না কোনওভাবে জাল নথি হাতে পাচ্ছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন এসআইআর পদ্ধতির মাধ্যমে বৈধ-অবৈধ নথি যাচাইয়ের কাজ করতে সুবিধা হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)