অর্ণব দাস, বারাসত: জগদ্ধাত্রী পুজোর জাঁকজমকের খ্যাতি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা থেকেও এখানে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন রকমারি থিমের পুজো দেখতে। তাই, ভিড় সামাল দিয়ে সুষ্ঠুভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন নিয়ে আজ, সোমবার বৈঠক হয়। পুজো কমিটি, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পূর্ত, দমকল, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করল অশোকনগর থানার পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, মহকুমা শাসক সোমা দাস, বারাসত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভা এলাকায় কমবেশি ৩০টি বড় জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এর বেশিরভাগই হরিপুর মোড় থেকে দেবীনগর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পড়ে। তাই, দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে পুজোর কটা দিন রাস্তার এই অংশে নো-এন্ট্রি থাকবে বলেই এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ এবং বাহিরের গেটে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, নাইট গার্ডের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে। মহিলা দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় উইনার্স টিমের টহল থাকার পাশাপাশি মেডিক্যাল টিম, দমকলের টিম-সহ ৩টি করে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র, পার্কিং জোন-সহ বায়ো টয়লেটেরও ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও মণ্ডপের আশেপাশের রেস্তরাঁয় খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে জেলার ফুড সেফটির আধিকারিকরা পুজোর ক’টা দিন মনিটরিং করবেন। এদিনের সমন্বয় বৈঠকে এগুলি ঠিক হয়েছে।
অশোকনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু ৩০ অক্টোবর। কিন্তু সরকারি ছুটি কাটিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর খুলছে ২৯ অক্টোবর। একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের অনুমতি জোগাড় করাটা পুজো কমিটির কাছে সমস্যার। এদিনের বৈঠকে একথা জানার পরেই বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দু’জনের কথার পর সেই সমস্যা মিটে যায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন পুজো কমিটি।