দিল্লিতে ওয়েব সিরিজ দেখে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন, গ্রেফতার ফরেনসিক ছাত্রী সহ তিনজন
বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ঠিক যেন রূপালি পর্দার চিত্রনাট্য। চলতি মাসে ৩২ বছর বয়সি ইউপিএসসি প্রার্থীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দিল্লিতে। গান্ধী বিহারের একটি আবাসন থেকে রামকেশ মিনা নামে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। অগ্নিকাণ্ডে রামকেশের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছিল পুলিশের। কিন্তু ঘটনার তদন্তে রহস্যের গন্ধ পান তদন্তকারীরা। রামকেশের লিভ-ইন পার্টনার ২১ বছরের অমৃতা চৌহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ফরেনসিক সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। অভিযোগ, তাঁর প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড সুমিত কাশ্যপের সহযোগিতায় রামকেশকে খুন করেন অমৃতা। ওয়েব সিরিজের ভক্ত অমৃতাই খুনের পরিকল্পনা করেন বলে জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রামকেশ ও অমৃতা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু পরে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ওই যুবক লিভ-ইন সঙ্গীর গোপন ভিডিও করেন। অমৃতা বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিডিওগুলি ডিলিট করতে বলেন তাঁকে। কিন্তু রামকেশ তা না করায় সম্পর্কের অবনতি হয়। এরপর ওই তরুণী প্রাক্তন প্রেমিক সুমিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুমিত আবার এলপিজি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটার। সুমিত যোগযোগ করেন বন্ধু সন্দীপের সঙ্গে। গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে রামকেশের গান্ধী বিহারের ফ্ল্যাটে আসেন অমৃতা, সুমিত ও সন্দীপ। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে। রাত তিনটে নাগাদ তাঁরা আবার বেরিয়ে যান। এরপরই রামকেশের ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল এসে ওই যুবকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। তাঁরা যাওয়ার সময় রামকেশের হার্ডডিস্ক, ল্যাপটপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর তদন্তে নেমে প্রথমে অমৃতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনজনে মিলে রামকেশকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর এলপিজি সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে। তিমারপুর থানার ইনসপেক্টর পঙ্কজ তোমার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ।