• অ্যাসিড কাণ্ডে নয়া মোড়, পরিকল্পনার কথা স্বীকার করলেন আক্রান্তের বাবাই
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্মীবাই কলেজের ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। পুরনো শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত শুক্রবার আক্রান্ত ছাত্রীর বাবা আকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ভালসাওয়া থানায় গিয়েছিলেন অ্যাসিড হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জিতেন্দ্রর স্ত্রী। এরমধ্যেই রবিবার অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসে। এরপরই আকিলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন জিতেন্দ্রর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, আকিল তাঁকে ধর্ষণ করেছে এবং সেই সব ছবি ও ভিডিও জিতেন্দ্রকে সে পাঠিয়ে দেয়। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। এদিকে, সূত্রের খবর, অ্যাসিড হামলার ঘটনা পুরোটাই ষড়যন্ত্র। জিতেন্দ্রর স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেছেন শুনেই ছক কষেছিল আকিল। আক্রান্তই অ্যাসিড জাতীয় কিছু কিনেছিল। ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্রকে ফাঁসানোর চেষ্টায় আকিলকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। বাবা-মেয়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে অ্যাসিড হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ২০ বছরের ওই ছাত্রী। তাঁর কথায়, মোটরবাইকে চেপে তাঁর সামনে হাজির হয় তিনজন। তাঁর দাবি, জিতেন্দ্র, ইশান ও আরমান নামে তিনজন তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর দু’হাত অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপাতত দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, ছাত্রী বিপন্মুক্ত।

    সোমবার সামনে এসেছে পুলিশের কাছে দেওয়া ছাত্রীর বয়ান। তিনি জানিয়েছেন, যাতায়াতের পথে জিতেন্দ্র প্রায়ই তাঁকে ধাওয়া করত। মাসখানেক আগে এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে জিতেন্দ্রর বচসাও হয়। সোমবার পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জানিয়েছেন কলেজের দেওয়ালে বা কোথাও অ্যাসিডের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই অ্যাসিড হামলা আদৌ ঘটেছিল কি, জোর দিয়ে তা বলা যায় না। যে সময়ে হামলার কথা বলা হয়েছিল, সেই সময় জিতেন্দ্র ছিল করোল বাগে। সিসি ফুটেজে তাঁকে বাইক সহ দেখা গিয়েছে। মোবাইল লোকেশন ও সাক্ষীদের বয়ানেও প্রমাণ হয়েছে ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না জীতেন্দ্র।
  • Link to this news (বর্তমান)