• ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ভোটারের অধিকাংশই গৃহবধূ
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আজ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর। ম্যাপিং অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকার মধ্যে মিল খুঁজে দেখা হয়েছে। সেখানে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোটারের তথ্যের মিল নেই। এই ৪৮ শতাংশের মধ্যে একটা বড় অংশ গৃহবধূ বলেই মনে করছে প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারণ, বিয়ের পর বধূরা বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে এসে উঠেছেন। সেজন্য শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ভোটার তালিকায় তাদের নাম নতুন উঠেছে। ২০২৫ সালের তালিকায় সেই নামগুলি নতুন। সেক্ষেত্রে ২০০২ সালের সঙ্গে ভোটার তালিকায় তথ্য মিলছে না বলেই অভিমত প্রশাসনের আধিকারিকদের। 

    তাঁদের দাবি, ২০০২ সাল এবং ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা পাশাপাশি মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে বিএলওরা দেখতে পেয়েছেন, অধিকাংশ বুথের ভোটের তালিকায় পুরুষদের নামের মিল পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে গৃহবধূ ও নতুন বিয়ে করে আসা বধূদের নাম নেই। ৪ নভেম্বর থেকে প্রত্যেক বুথে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ফর্ম দেওয়ার কাজ চলবে। তারপর সেই ফর্ম ফিল আপ করে জমা দেবেন ভোটাররা। যাদের নাম থাকবে না, তাদের জমা দিতে হবে সেলফ ভারতীয় নাগরিকত্বের অ্যাটেস্টেড ঘোষণাপত্রও। বিহারে ভোটার তালিকার সংশোধনের সময় ১১টি নথির তালিকা দেওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফে। বাংলার ক্ষেত্রেও একই নথিকেই প্রাধান্য দিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে আধার কার্ডকেও মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। ফর্ম ফিলাপ করে নাম নথিভুক্ত করার পর কমিশন ৯ ডিসেম্বর একটি খসড়া ভোটের তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা ৮ জানুয়ারির মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ শোনার প্রক্রিয়া চলবে। তারপর সমস্ত আবেদন পুনরায় বিবেচনা করে এসআইআরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। 

    মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, কমিশনের ঘোষণার দিকে আমরা তাকিয়ে ছিলাম। বিএলওদের ট্রেনিং আগেই শেষ করা হয়েছে। এবার ফর্ম ছাপানোর কাজ শুরু হবে। ফিজিক্যালি বিএলওরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। যাঁদের নাম পাওয়া যায়নি, তাঁদের ফর্ম ফিলআপ করে ডকুমেন্টস জমা নেওয়া হবে। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না। বিভ্রান্তির কিছু নেই। তবে বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক শোনার জন্য টিভিতে চোখ রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরা। অনেকেই ঘোষণার পর ২০০৩ সালের তালিকায় নিজেদের নাম খুঁজতে শুরু করেন। যারা নাম খুঁজে পাননি, তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)