• অশোকনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে বৈঠক, গাইড ম্যাপ প্রকাশ
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শেষ হয়েছে কালীপুজো। এবার প্রস্তুতি জগদ্ধাত্রী পুজোর। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে অশোকনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রতি বছরই নজর কাড়ে। হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা হয় শহরে। তাই সুষ্ঠুভাবে যাতে জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পন্ন হয়, তার জন্য প্রশাসনিক সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হল সোমবার। অশোকনগর পুরসভার প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস, বারাসতের এসডিও সোমা দাস, অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার প্রমুখ। বৈঠকে পুজো কমিটির সদস্যরা বিদ্যুৎ দপ্তরের অনুমতি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ, সরকারি ছুটি কাটিয়ে ২৯ তারিখ খুলছে অফিস। পুজো ৩০ অক্টোবর। তাই এই সমস্যার কথা শোনার পরই সমন্বয় বৈঠক থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে মুশকিল আসান করেন বিধায়ক নারায়ণবাবু। ফলে মঙ্গলবার থেকেই জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন পুজো উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি এদিন পুজোর গাইড ম্যাপও প্রকাশ করে পুলিশ। অশোকনগর পুরসভা এলাকার ৪২টি পুজোর মধ্যে ৩০টি হয় কল্যাণগড়ে। হরিপুর মোড় থেকে দেবীনগর পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তার মধ্যেই পড়ে অধিকাংশ বিগ বাজেটের পুজো। এই রাস্তা সংকীর্ণ। তাই দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে পুজোর ক’টা দিন হরিহরপুর মোড় থেকে দেবীনগর পর্যন্ত রাস্তা ‘নো-এন্ট্রি’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মণ্ডপের ভিতরে, প্রবেশ ও প্রস্থানের গেটে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, নাইট গার্ডের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    পুলিশের তরফে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে। মহিলা দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় প্রস্তুত থাকবে পুলিশের ‘উইনার্স টিম’। থাকবে বায়ো টয়লেট, মেডিকেল টিম, দমকলের টিম সহ তিনটি পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র ও পার্কিং জোন। এছাড়াও দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় মণ্ডপের আশেপাশের রেস্তরাঁয় খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে জেলার ফুড সেফটি আধিকারিকরা পুজোর ক’দিন মনিটরিং করবেন বলে সমন্বয় বৈঠকে স্থির হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো করতে পুলিশকে পরিস্থিতি বুঝে কিছু পদক্ষেপ করতে হয়। এই কাজে মানুষের সহায়তাও ভীষণভাবে প্রয়োজন আমাদের।’ বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘বিদ্যুৎ দপ্তরের অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে দিয়েছি।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)