আকাশেই জ্বালানি ভরে শত্রু নিকেশ! যুদ্ধবিমানে শক্তি যোগাতে ৬ ‘মিড এয়ার রিফুয়েলিং’ কিনছে বায়ুসেনা
প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। যুদ্ধ চলাকালীন জ্বালানির জন্য বারবার অবতরণের সমস্যা এড়াতে আরও ‘মিড এয়ার রিফুয়েলিং’ বিমান কিনছে বায়ুসেনা। ইজরায়েলের এক সরকারি সংস্থার সঙ্গে শীঘ্রই এই বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হতে চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক এমন ৬টি বিমান কেনা হবে বায়ুসেনার জন্য। যার খরচ পড়বে প্রায় ৮ হাজার কোটি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ইজরায়েলি সংস্থা ইজরায়েল এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ (IAI)-এর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হলে তারা পুরনো এবং ব্যবহৃত বোয়িং-৭৬৭ বাণিজ্যিক বিমানে বেশকিছু পরিবর্তন করে সেগুলিকে ‘মিড এয়ার রিফুয়েলিং’ বা ট্যাঙ্কার
বিমানে রূপান্তরিত করবে। এরপর তা হস্তান্তর করা হবে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে। জানা যাচ্ছে, বায়ুসেনায় ট্যাঙ্কার বিমানের ঘাটতি মেটাতে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। যেখানে অন্যান্য শর্তের পাশাপাশি প্রধান শর্ত ছিল এই বিমানে অন্তত ৩০ শতাংশ দেশিয় সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। রাশিয়া ও ইউরোপের বহু সংস্থা প্রতিযোগিতামূলক এই টেন্ডারে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত সব শর্ত মেনে শীর্ষে উঠে আসে ইজরায়েলের সংস্থা আইএআই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিঘ্রই ৬ ট্যাঙ্কার বিমান পেতে চলেছে বায়ুসেনা।
উল্লেখ্য, দেশের বায়ুসেনার কাছে বর্তমানে ৬টি রাশিয়ার তৈরি IL-78 মিড-এয়ার রিফুয়েলিং বিমান রয়েছে। যেগুলি আগ্রায় অবস্থিত। বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সবধরনের চাহিদা পূরণ করে এগুলি। গত ১৫ বছরে, বিমান বাহিনী আরও ছয়টি রিফুয়েলিং বিমান সংগ্রহের চেষ্টা চালালেও নানা সমস্যায় তা ব্যর্থ হয়। এদিকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই বিমানের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে নজরে পড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে একটি ট্যাঙ্কার বিমান ভাড়া করেছে বায়ুসেনা। এবার সেই সমস্যা মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করে এই ট্যাঙ্কার বিমান?
দীর্ঘ সফরের জন্য মাঝ-আকাশে তেল ভরার প্রয়োজন হয় যুদ্ধবিমানের। এক্ষেত্রে ট্যাঙ্কার বিমানই একমাত্র ভরসা। অস্ত্রবোঝাই যুদ্ধবিমানের আশপাশে উড়বে এই বিমানগুলি। জ্বালানি ভরার জন্য প্রথমে জেটের পাইলট ট্যাঙ্কার বিমানের চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এরপর ট্যাঙ্কার বিমানটি থেকে বেরিয়ে আসবে একটি তেল ভরার পাইপ। জেটের সামনে বা পিঠের উপরে থাকা জ্বালানি ট্যাঙ্কারের মুখে আটকে যাবে ওই পাইপ। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে তেল সরবরাহ।