ইছামতীর গতিপথ রুদ্ধ করে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ শুভেন্দুর
আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ইছামতী নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে অবৈধ ভাবে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) তিনি দাবি করেছেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া এলাকায় তেঁতুলিয়া সেতুর কাছে ইছামতী নদীর অংশ দখল করে অবৈধ ভাবে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের জমির হাঙরেরা প্রশাসনের নাকের ডগায় নদীকে গ্রাস করছে। এতে নদীর প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং বন্যার আশঙ্কা থাকছে’।
এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দুর অভিযোগ অনুযায়ী, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছেন বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ও বাদুড়িয়া নর্থ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি সম্বরণ মিস্ত্রি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘স্থানীয় ভূমি অফিস (বিএলআরও)-এর দুর্নীতিপরায়ণ কিছু কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি নদী দখলের কাজ চালাচ্ছেন’। অভিযোগ অস্বীকার করে সম্বরণ বলেন, ‘‘মেছোভেড়ি নয় নদীর পাশের মাটি যাতে ফের জলে গিয়ে না পড়ে সেই কারণে ইট দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। পরে সেখানে মাটি তোলার কাজ শুরু হবে।’’ তাঁর দাবি, এটা সরকারি প্রকল্প। এই ভাবে ইছামতীর দু’পাড় মজবুত করা হবে যাতে বর্ষায় গ্রাম জলমগ্ল না হয়।
সম্বরণের দাবি সমর্থন করে স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল বলেন, ‘‘নদীর পাড়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ হচ্ছে।’’ বাদুড়িয়ার বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু বলেন, ‘‘মিথ্যা বলছেন বিরোধী দলনেতা। সরকারি প্রকল্পে বাদুড়িয়া এবং স্বরূপনগরের মধ্যে নদীর গতিপথ সুগম করতে চড়া পরে যাওয়া মাটি তোলার কাজ হচ্ছে।’’
ইটের গাঁথনি দেওয়ার কাজ সোমবারও চলেছে। এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু লিখেছেন, নদী চুরি হচ্ছে বলে। তাঁর দাবি, ‘যখন জল উপচে পড়বে, তখন ডিভিসি’কে দোষ দেওয়া হবে। প্রকৃত কারণ হল তৃণমূল নেতাদের এই অবৈধ দখল’।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “যদি নদী ভরাট বা অবৈধ ভেড়ি তৈরি করার প্রমাণ মেলে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পরিবেশবিদদের মতে, ইছামতী নদী বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত হওয়ায় এর অববাহিকা সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।