• দুবরাজপুর: পুর-প্রতিনিধিদের তলব কেষ্টর
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • পুরসভার পঞ্চাশতম বর্ষ ছোঁয়ার সূচনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ পৌঁছল তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) কাছে। কোন্দল মেটাতে আজ, মঙ্গলবার দুবরাজপুর পুরসভার সব কাউন্সিলরকে অনুব্রত বোলপুরে ডেকেছেন বলে দল সূত্রে খবর।

    রবিবার পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই অনুষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন ১৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট দুবরাজপুর পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলর বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অনুষ্ঠানে তাঁদের পুরোপুরি ব্রাত্য রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর লোক-মারফত সব সূচি তাঁরা জানতে পারছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘যা কিছু হচ্ছে পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের ইচ্ছেয়। এটাই অসম্মানিত করেছে।’’

    যদিও ওই অভিযোগ মানেননি পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। তাঁর দাবি ছিল, ৫০তম বর্ষের অনুষ্ঠান পরিকল্পনার সূচনা লগ্ন থেকে প্রতিটি ধাপেই কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘তাঁরা কোনও মতামত গিয়েছেন, অথচ সেটা গ্রাহ্য হয়নি এমনটাও নয়। কেন একথা ওঁরা বলছেন জানি না।’’

    তবে পুরপ্রধানের আশ্বাসে থেমে থাকেননি ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরেরা। রবিবার রাতেই ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাগর কুণ্ডু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন-সহ মোট ৯ কাউন্সিলর ও দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের প্রতিনিধি কেষ্ট মণ্ডলের কাছে পৌঁছে যান। সূত্রের দাবি, কেন সকলে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন, তা কেষ্টকে জানান তাঁরা। তারপরই বিবাদ মেটাতে সকলকে কেষ্ট বোলপুরে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দুবরাজপুরের শহর সভাপতি স্বরূপ আচার্য বলেন, ‘‘পুরসভার বিষয়ে আমার নাক গলানো উচিত নয়। তবে যা ঘটেছে দলের স্বার্থেই সেটা ঘটা উচিত ছিল না।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)