• বালি চুরি, ইডি-তদন্তের আশা শুভেন্দুর
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আরামবাগের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে বালি চুরি বা পাচার হয়ে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তাদের মদতেই বালি চুরি চলে আসছে বলে স্থানীয় বহু মানুষেরই অভিযোগ। তা নিয়ে এ বার ইডি-র তদন্তের আশা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার বিকেলে খানাকুল ২ ব্লকের জগৎপুরের মাঝেরপাড়ায় একটি ক্লাবের নবনির্মিত জগদ্ধাত্রী মন্দির উদ্বোধন করতে এসেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই মহকুমার নদ-নদী থেকে বালি চুরির প্রশ্নে তিনি বলেন, “ইডি ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তদন্তে নেমেছে। হুগলিতেও ব্যবস্থা নেবে বলে আমি আশা করি। এখানে নদ-নদীর গর্ভে যন্ত্র নামিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। পার কেটে নেওয়া হচ্ছে।’’

    মহকুমায় বালির উৎস মূলত দ্বারকেশ্বর নদ এবং মুণ্ডেশ্বরী নদী ও তার শাখা নদীগুলি। বালি চুরির ঘটনায় বর্তমান শাসক দলের তরফে তাদের কিছু নেতাকে শো-কজ় করারও দৃষ্টান্ত আছে। যদিও তার পর তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মহকুমা ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বছর কয়েক বালি চুরি ও পাচার রুখতে ব্যাপক অভিযান চলেছে। তার জেরে চুরির হার অনেকটা কমেছে। বালি রুখতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।” ‌এ নিয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ রায় বলেন, “আরামবাগে বর্তমানে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে না। মু্খ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশসান কড়া ভূমিকা নিয়েছে। শুভেন্দুবাবুর মুখে চুরি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ মানায় না। নারদ-কাণ্ডে ওঁকে কাগজে মুড়ে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে।’’

    বন্যাপ্রবণ খানাকুলের অনুন্নয়ন নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও গাড়ি নিয়ে আসার কোনও সুযোগ নেই জগৎপুর-সহ খানাকুলের অনেক জায়গায়। উন্নয়নে পিছিয়ে আছে এই জায়গা।’’

    এ দিনের অনুষ্ঠানে মহকুমার চার দলীয় বিধায়ক খানাকুলের সুশান্ত ঘোষ, পুরশুড়ার বিমানঘোষ, আরামবাগের মধুসূদন বাগএবং গোঘাটের বিশ্বনাথ কারকও উপস্থিত ছিলেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)