• কিশোরীকে সিঁদুর, প্রতিবাদ করায় কাকাকে মারধর
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • বাড়িতে অনুষ্ঠানে চোদ্দো বছর বয়সি ভাইঝির সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দিচ্ছেন প্রেমিক। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল সেই ছবি ও ভিডিয়ো দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন মেয়েটির কাকা। সেই ‘অপরাধে’ রাস্তায় ধরে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল কিশোরীর বাবা-মা এবং প্রেমিকের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে বাঁচাতে এসে স্ত্রীও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ।

    গ্রামীণ হাওড়ার ঘটনা। প্রহৃত যুবক স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তাঁর স্ত্রী পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন। নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য। প্রহৃত যুবক ঘরে উঁকি মারতেন, এই মর্মে মেয়েটির পরিবারের তরফে থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।

    হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হোমে পাঠানো হয়। দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীর প্রেমিক দিনমজুর।তিনি পলাতক।’’

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাড়িতে নাবালিকার জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বছর কুড়ির ওই যুবক নবম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েটিকে সিঁদুর পরাচ্ছেন, এমন ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়ায়। মেয়েটির বাবা-মাও সেখানে ছিলেন বলে ছবিতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটির কাকা আপত্তি জানান। এ নিয়ে দাদা-বৌদির সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। অভিযোগ, সোমবার সকালে তিনি কাজে যাওয়ার সময় দাদা-বৌদি পথ আটকান। বচসা হয়। এর পরেই মারধর। মেয়েটির প্রেমিকের বাবা-মাও তাতে যোগ দেন।

    মেয়েটির মা বলেন, ‘‘দেওর ঘরে উঁকি মারত। তাই নিয়ে ঝগড়া, ঠেলাঠেলি হয়। মারধর করা হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মেয়ে এবং ওর বন্ধু সিঁদুর নিয়ে খেলা করছিল।’’ নাবালিকার কাকার বক্তব্য, ‘‘দাদা-বৌদি বাড়িতে না থাকলে ছেলেটা প্রায়ই আসত। তার প্রতিবাদ করতাম। সিঁদুর পরানোতেও পারিবারিক সম্মান নষ্ট হওয়ায় প্রতিবাদ করি। তাতেই মারধর করা হল। এখন মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ যুবকের বাবার দাবি, ‘‘মারধরের ঘটনায় আমরা জড়িত নই। ছেলে ওই রকম কাজ করে থাকলে সমর্থন করি না।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)