কাজে ফিরলেন উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিগৃহীত মহিলা চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কতটা উন্নতি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেল। কারণ, সোমবারেও ‘ভিজ়িটিং আওয়ার্স’-এ কার্যত লাগামছাড়া ভিড় জমতে দেখা গেল বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা মনে করছেন, রোগীদের দেখতে আসা লোকজনের ভিড় না কমলে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। ওই মহিলা চিকিৎসক অবশ্য বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে আতঙ্ক অনেকটা কেটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী, দেখতে হলে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমি আশাবাদী।’’ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সুপার তথা উপাধ্যক্ষ সুবীর মজুমদার বলেন, ‘‘ভিড়ের বহর দেখেছি। এ সব বন্ধ করা হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, রোগীদের সঙ্গে পরিজনদের সাক্ষাতের সময় বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টা। এ জন্য জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া কার্ডে কর্তৃপক্ষের কারও সই বা কত জন ঢুকতে পারবেন, তার উল্লেখ থাকে না। সে সুযোগটাই অনেকে নেন বলে অভিযোগ। সুপার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সই করা নতুন ‘ভিজ়িটরস কার্ড’ ছাপাতে দেওয়া হয়েছে। রোগীর কাছে এক জনের বেশি যেতে দেওয়া হবে না। ওয়ার্ডের গেট এমন ভাবে আটকানো থাকবে, যাতে এক সঙ্গে এক জনের বেশি ঢুকতে না পারে।
গত সোমবার এক প্রসূতির চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে তিন জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে, ধৃত তিন জনকে এ দিন ফের উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
এ দিকে, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া শো-কজ়ের উত্তর সন্তুষ্ট করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘‘যে উত্তর ওই সংস্থা দিয়েছে, তাতে প্রশ্ন আছে। ফের ওই সংস্থাকে শো-কজ় করে তিন দিনের মধ্যে উত্তর চাওয়া হয়েছে।’’