• বাজিতে ক্ষতির সম্ভাবনা চোখে
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • শুধু কার্বাইড গান-ই নয়, কালীপুজো থেকে ছটপুজো পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অভিঘাতে জেলার একাধিক শিশু থেকে কিশোর জখম হয়েছে। তার মধ্যে চোখের সমস্যা নিয়ে এই ক’দিনে গড়ে ৪-৫ জন করে রোগী মালদহ মেডিক্যালের বহির্বিভাগে চোখের চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে মেডিক্যাল সূত্রেই খবর। বাজি ফেটে কয়েক জনের চোখের কর্নিয়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারও বাজি ফেটে চোখের ভিতরে রক্তপাত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত কাউকে হাসপাতালে ভর্তি না করা হলেও বাড়িতেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ১৪টি শিশু দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে দীপাবলিতে ব্যবহৃত 'কার্বাইড গান'-এর দৌলতে। কালীপুজোর দিন থেকে রবিবার পর্যন্ত সেই 'গান' তথা বন্দুকের দৌলতে চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছে জেলার অন্তত ১১ শিশু-কিশোর-যুবককে— দাবি চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের। মেডিক্যালের চক্ষু বিভাগ সূত্রে খবর, কয়েক জন শিশু ও কিশোরের আঘাত এতটাই গুরুতর যে তাঁদের কর্নিয়া বাজির অভিঘাতে সাদা হয়ে গিয়েছে, তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে। জেলার গাজল, মানিকচক, রতুয়া, পুরাতন মালদহ ও ইংরেজবাজার ব্লকের একাধিক শিশু-কিশোরের চোখের পরিস্থিতি এমনটাই। মালদহ মেডিক্যালের চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ সৌম্যদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘কালীপুজোর দিন থেকে আমরা দিনে অন্তত চার-পাঁচ জন করে রোগী পাচ্ছি যে সমস্ত শিশু-কিশোরেরা বাজি ফাটাতে গিয়ে চোখের সমস্যায় ভুগছে। কয়েক জনের কর্নিয়া মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখন তাদের ‘কেরাটোপ্লাস্টি’ পদ্ধতির মধ্যমে চোখের মণি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এ ছাড়া অনেকের চোখের ভেতরের দিকে রক্তক্ষরণ হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বাজি ফেটে চোখ যদি কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে ওই রোগীর পরিবার যেন দোকান থেকে চোখের ড্রপ কিনে না লাগিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ বা কোনও চক্ষু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে এসে সঠিক চিকিৎসা করায়। না হলে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা থাকবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)