‘শ্রীরামকৃষ্ণ’র চরিত্র জাতীয় পুরস্কার দিয়েছিল মিঠুনকে, সৃজিতের ছবিতে ‘পরমহংস’ হওয়ার সময় মিঠুন-তুলনা মাথায় এসেছিল? চাঁচাছোলা জবাব পার্থর!
আজকাল | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবি নিয়ে আগ্রহের পারদ উত্তরোত্তর চড়ছে। বাড়ছে চর্চা। ছবিতে চৈতন্যদেবের জীবন এবং তাঁর আনুষাঙ্গিক ঘটনাক্রমও থাকবে। তিনটি সময়কাল জুড়ে তিনটি গল্প বলা হবে এই ছবিতে। ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছেন রাণা সরকার এবং এসভিএফ। আগামী ডিসেম্বরেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
ছবির মুখ্য চরিত্রাভিনেতাদের মধ্যে দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ইশা সাহা, পার্ণো মিত্র, দর্শনা বণিককে। তবে বড় চমক রয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভু এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের চরিত্রে। ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তকে দেখা যাবে ‘মহাপ্রভু’-র চরিত্রে এবং শাসক দলের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে দেখা যাবে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’র চরিত্রে।
রাজনীতি যদি পেশা হয়, অভিনয় তাঁর নেশা। কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ, কখনও রাজনীতিবিদ হয়ে পর্দায় ধরা দিয়েছেন। মঞ্চেও তাঁকে দেখা গিয়েছে নানা রূপে। মঞ্চাভিনেতা হওয়ার ফলে যে কোনও চরিত্রে সাবলীল তিনি। সাংসদ পার্থ এ বার সৃজিতের ছবিতে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’ চরিত্রে। কিছুদিন আগেই শুটিং শেষ করেছেন। এই প্রথম কোনও মহাপুরুষের চরিত্রে অভিনয় করলেন পার্থ।
আজকাল ডট ইন-কে নানান কথার ফাঁকে এ প্রসঙ্গে পার্থর বক্তব্য, “রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র আমি। শ্রীরামকৃষ্ণ আমার মননে, চিন্তনে। সুতরাং, পর্দায় তাঁকে ফুটিয়ে তোলার জন্য খুব যে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তা নয়। তবে হ্যাঁ, শুটিংয়ের আগে রোজ মিনিট চল্লিশ সম্পূর্ণ একা থাকতাম। মনঃসংযোগের জন্য। তখন একটা আলাদা অনুভূতি হত।” এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছিল, ১৯৯৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দ ছবিতে শ্রীরামকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ-অভিনেতার বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের সেই পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা হয়েছিল দর্শক থেকে সমালোচকমহলে। তা সেই বিষয়টি কি ভাবনায় ছিল এই ছবির শুটিংয়ের সময়?
প্রশ্ন শুনে সামান্য হাসলেন সাংসদ। তারপর দৃঢ় গলায় বলে উঠলেন, “না, না। প্রশ্নই নেই! তবে হ্যাঁ, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী আমার কাছে ঈশ্বর সমান। এক কথায়, অতুলনীয় শিল্পী। কোনও কথা হবে না। অভিনেতা মিঠুনের কাজ অবাক হয়ে দেখতে হয়, শিখতে হয়। ওঁর সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ ছবিতেও তো কাজ করলাম। ছবিতে আমাদের অনেকগুলো দৃশ্য রয়েছে একসঙ্গে।” তবে এখানেই থামেননি তিনি। যোগ করলেন, এখানে আরও একটা কথা বলতে চাই। রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তীর কিন্তু কোনও নম্বর নেই আমার কাছে। একেবারে ফালতু! কারণ ঠান্ডা ঘরে বসে বড় বড় কথা বলা যায়, কিন্তু গরিব মানুষের কষ্ট বোঝা যায় না। তার জন্য রাস্তায় নামতে হয়।”