ট্রাম্পের দাবিই সত্যি? রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করল একাধিক ভারতীয় সংস্থা...
আজকাল | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল কেনা সাময়িকভাবে বন্ধ করল ভারতের তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিন কয়েক আগেই নূন্যতম দু'বার দাবি করেছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা অনেকটা কমিয়ে দেবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি তাঁকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টের সেই ঘোষণার পরই প্রকাশ্যে এল ভারতের তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত।
এর আগে মস্কোর প্রধান জ্বালানি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে ওয়াশিংটন। তার পর থেকেই অনিশ্চয়তা মাথাচাড়া দেয়। ফলে রুশ তেল সংস্থাগুলিকে আপাতত নতুন তেলের অর্ডার দেওয়া আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারতীয় পরিশোধনকারী সংস্থাগুলি।
তবে হঠাৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কিছু সংস্থা তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে তেল কিনছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন নতুন তেল আমদানির টেন্ডার ডেকেছে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজও স্পট মার্কেট থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল উৎপাদক সংস্থা - 'লুকঅয়েল' ও 'রসনেফ্ট'র বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার আগের নিষেধাজ্ঞার পর এই পদক্ষেপ রাশিয়ার জ্বালানি বাণিজ্যে আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ভারতীয় তেল ক্রেতাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে - কোন পথে সরবরাহ আসবে এবং কীভাবে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
রিলায়েন্স ২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেলের ক্রেতা। রিলায়েন্স জানিয়েছে, তারা সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। সংস্থাটি আপাতত রসনেফ্ট থেকে তেল আমদানি বন্ধ রেখেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ভারত দৈনিক গড়ে ১৯ লক্ষ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে নিষেধাজ্ঞা ও ছাড় কমে যাওয়ায় সরবরাহের গতি ইতিমধ্যেই কমেছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮.৪ শতাংশ কমেছে, এবং পরিশোধনকারী ক্রমশ মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা থেকে আমদানির দিকে ঝুঁকছে।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, রুশ তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারতকে অতিরিক্ত শুল্কের মুখে পড়তে হবে। মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্যে চাপ বাড়াতে। যদিও এরই মধ্যে বড় খবর সামনে এসেছে। এক রিপোর্ট বলছে, ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমে প্রায় ১৫-১৬ শতাংশে নামতে পারে।