• সারা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে নেই পড়ুয়া, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই রিপোর্টে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্কুল এবং শিক্ষক থাকলেও তাতে নেই পড়ুয়া। সারা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে একজন ছাত্রছাত্রীও ভর্তি হয়নি বলে খবর। আর এই রকম স্কুলের সংখ্যা বাংলায় বেশি। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি স্কুল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলার ৩ হাজার ৮১২টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া নেই। অথছ সেই স্কুলগুলিতে ১৭ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষক আছেন এবং তাঁরা নিয়মিত বেতন পান। দেশজুড়ে পড়ুয়াশূন্য স্কুলে বেতন তোলা শিক্ষকের সংখ্যা ২০ হাজার ৮১৭ জন।

    কেন্দ্রীয় এই রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে বাংলার ৬ হাজার ৪৮২টি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন মাত্র একজন। আর সেই স্কুলগুলিতে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২.৩৫ লক্ষ। অর্থাৎ কোথাও পড়ুয়া নেই তো কোথাও আবার একজন শিক্ষক-শিক্ষকই গোটা স্কুল সামলাচ্ছেন। স্কুল থেকে প্রশাসন সব দায়িত্ব শিক্ষকের একার কাঁধে।

    রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘এটাই কি উন্নয়নের মডেল? যেখানে স্কুল আছে, শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই! শিক্ষা নয়, চলছে দুর্নীতির পাঠ।‘

    অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রীয় এই রিপোর্টটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘বিজেপি চিরকাল মিথ্যা ছড়ায়। গত এক দশকে রাজ্য সরকার হাজার হাজার নতুন স্কুল গড়েছে।  পুরনো স্কুল সংস্কার করেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার প্রসারে নানা প্রকল্প চালু করেছে।‘ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘শুধুমাত্র গত শিক্ষাবর্ষেই সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে রাজ্য সরকার স্কলারশিপ দিয়েছে।‘

    স্কুল পড়ুয়াই যদি না থাকে তাহলে শিক্ষা প্রকল্প দিয়ে কী হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে অনেকের মত, গ্রামীণ অঞ্চলে একাধিক স্কুল একসঙ্গে মিশে যাওয়ায় কিছু স্কুল আপাতত ‘শূন্য’ দেখাচ্ছে। তবে স্কুল পড়ুয়া না থাকার যে কারণই হোক না কেন, কেন্দ্রীয় এই রিপোর্ট ঘিরে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই ছড়িয়েছে তীব্র উত্তেজনা।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)