• পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির অভিযান
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • কালীপুজো মিটতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ফের সক্রিয় হল ইডি। মঙ্গলবার সকালে বেলেঘাটা সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। ভোরবেলা বেলেঘাটার ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোডে থাকা একটি বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    ৬ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে পৌঁছন ওই বাড়িতে। তবে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। এই ভাবে কেটে যায় অনেকটা সময়। তখন পাশের এক আবাসন থেকে সেখানে আসেন এক নিরাপত্তারক্ষী। ইডি আধিকারিকরা তাঁকে পরিচয় দিলে, তিনিই বাড়ির দরজা খুলে দেন।

    বেলেঘাটার ওই বাড়ি মালিক দুই ভাই, বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও রণজিৎ চৌধুরী। বিশ্বজিৎবাবুর কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। অন্যদিকে রঞ্জিত চৌধুরী যুক্ত রয়েছেন নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে। পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁদের যোগ কী ভাবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কোনও ভাবে তাঁদের কোম্পানির নাম উঠে এসেছে।

    অবশ্য শুধুই বেলেঘাটা নয়, এদিন শহরের বেন্টিক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের দাবি, পুর-দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত লিঙ্কম্যানদের খুঁজতেই এই তল্লাশি অভিযান। এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসুর একাধিক রেস্তোরাঁ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।

    চলতি মাসের শুরুতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার অন্তত ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনেও তল্লাশি চালানো হয়। এর আগে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি এই মামলার তদন্তেই লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়ি এবং দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।

    ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, ডিজিটাল ডিভাইস ও হিসাব দিতে না পারা ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সুজিত বসু বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকবার ভোটের আগেই ওরা এটা করে। বাড়ি, অফিস সব জায়গায় যায়। আগেও রেড করে কিছু পায়নি। ভোটের আগে চাপ তৈরি করতে এসব করে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)