• সুপ্রিম রায়ের পর হাইকোর্টে চলা মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির আর্জি রাজ্যের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১০০ দিনের কাজে সুপ্রিম কোর্টের রায় রাজ্যের পক্ষে গিয়েছে। সোমবার এই রায়ের পর মঙ্গলবার বকেয়া টাকার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। বকেয়া মজুরি-সহ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলাগুলির শুনানি হবে।

    সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই প্রকল্পের টাকা মঞ্জুর করতেও বলে আদালত। গত ১ আগস্ট থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করে দেয় এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

    গত তিন বছর ধরে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে।  যা নিয়ে বার বার সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল।  কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লির কৃষি ভবন অভিযান করেন তৃণমূল সাংসদরা। নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের এই প্রতিবাদে শামিল হন রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা না পাওয়া শ্রমিক, কৃষকরা। ওইদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। মন্ত্রীর বদলে প্রতিমন্ত্রী সাক্ষাৎ করে কথা বলবেন বলে জানানো হয়। দিল্লির কৃষি ভবনে  থেকে সাংসদদের টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয় দিল্লি পুলিশ। এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় টাকা আটকে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

    ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১০০ দিনের কাজে মজুরি মিলছে না, জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি। বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এত দিন টাকা বন্ধ করে রাখার জন্য ০.০৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার আর্জি জানান মামলাকারীরা। ওই মামলাও বিচারাধীন রয়েছে হাইকোর্টে।

    মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। বাংলার গরিব মানুষকে বঞ্চিত করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বীরবাহা হাঁসদা, প্রতিমা মণ্ডলরা বললেন, ‘২০২৬ সালের ভোটে বিজেপিকে এর জবাব মানুষ দেবে।‘ সেই সঙ্গে জানান ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বেশ কিছু মামলা এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেই সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)