• বুধেই বিহারে পা রাহুল-সোনিয়ার, ‘এনডিএ সাম্রাজ্যে’র পতনে রাজ্য চষবেন ৩ গান্ধী
    প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বিহারে প্রচারে নামছে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য-সহ কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার দু’টি নির্বাচনী জনসভা করবেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীরা। ওইদিন মুজফফরপুর ও দ্বারভাঙায় একই মঞ্চে থাকবেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব ও রাহুল গান্ধী। বিহারের প্রথম দফার ভোটের প্রচার শেষ হচ্ছে এক সপ্তাহ পর। প্রায় একমাস পরে বিহারে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। মাঝখানের এতদিন রাহুল ‘লাপাতা’ থাকায় রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি কংগ্রেস বিহারের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বস্তিতে মহাগঠবন্ধন। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন ক্ষমতায় এলে ওয়াকফ আইন কার্যকর করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিহারে প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচারে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা সোনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ৬ নভেম্বর। ফলে প্রচারের জন্য হাতে সময় আছে আর দিন সাতেক।‌ কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের তরফে প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য বারো নেতার নাম স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে পেশ করা হয়েছে। ‌এক দু’দিনের মধ্যে শীর্ষনেতারা পাটনায় পৌঁছে যাবেন। ‌খাড়গে এবং গোটা গান্ধী পরিবার প্রচারে অংশ নেবেন বলে ঠিক থাকলেও বেশিরভাগ সভা করবেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।
    প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে হাইকমান্ড শীর্ষ চার নেতার জন্য আসন বাছাই করছে। ইতিমধ্যে দলের দুই সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বিহারে প্রচার চালাচ্ছেন। ‌ এক দফা প্রচার করে এসেছেন বাংলার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত‌ শাহ বিহারে প্রচারে যাচ্ছেন। একই সময় রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের ময়দানে নামাতে চায় কংগ্রেস। সোনিয়া এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। ‌তবে তিনি দু’তিনটির বেশি সভা করবেন না। ‌ কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেও অল্প কিছু সভা করবেন।

    রাহুল বিহারে গিয়েছিলেন গত ১ সেপ্টেম্বর। ভোটার অধিকার যাত্রা‌ শেষে পাটনায় জনসভা করেন তিনি। ‌ তার পর থেকে প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও কেন তিনি এতদিন বিহারে যাননি, তা নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ‌পাটনা সফর থেকে ফিরে রাহুল বেশ কিছুদিন বিদেশে ছিলেন। দাদার মতোই বোন প্রিয়াঙ্কাও বিহারে প্রচার নিয়ে এতদিন উৎসাহ দেখাননি। কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বলছে এটা নতুন কিছু নয়। ‌দলের শীর্ষনেতারা বরাবরই শেষ প্রহরে প্রচারে ঝড় তোলেন। এটা দলের কৌশলও বটে। ‌কংগ্রেস এবার বিহারে ৬০টি আসনে লড়াই করছে। গতবার হাত শিবির ৭০ আসনে লড়াই করেছিল। এবার দল অনেক বেশি জোর দিয়েছে, জয়ের সম্ভাবনা ভালো এমন আসনগুলির দিকে।‌ শেষ পর্যন্ত আরজেডি-র সঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধ মিটলেও সিপিআইয়ের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি আসনে হাত-শিবিরের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)