কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, কাজ শুরু অষ্টম বেতন কমিশনের, দ্রুত বাড়বে বেতন
প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর। অষ্টম বেতন কমিশনের টার্মস অফ রেফারেন্সে ছাড়পত্র দিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি খতিয়ে দেখে সেটিকে কার্যকর করার জন্য এই টার্মস অফ রেফারেন্সে ছাড়পত্র পাওয়াটা জরুরি ছিল। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। যার অর্থ সরকারিভাবে অষ্টম বেতন কমিশন কাজ শুরু করে দিল।
এর আগে জানুয়ারি মাসে অষ্টম পে কমিশন গঠন করে কেন্দ্র। সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছেন। সেই কমিশনের সুপারিশ খতিয়ে দেখতে নতুন একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। যার চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইকে। এই টিওআর বা টার্মস অফ রেফারেন্সে ছাড়পত্র না দিলে, কমিশন কোনও সুপারিশ করতে পারে না। ১৮ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা করবে এই ৩ সদস্যের কমিশন। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে নতুন বেতন কাঠামো।
৫০ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এর ফলে বেসিক থেকে, অ্য়ালাওন্সেস, পেনশন ও অন্য়ান্য সুযোগ সুবিধা- সবেতেই লাভবান হবেন। এর জেরে একদিকে ডিএ বাড়বে, বাড়বে পেনশনভোগীদের ডিআর। শোনা যাচ্ছে, অষ্টম পে কমিশন চালু হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন একলাফে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ ২.৫৭ থেকে বাড়িয়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর অর্থ কর্মীদের বেসিক বেতন বাড়বে হু হু করে। অর্থাৎ কারও বেসিক বেতন যদি ১৮ হাজার টাকা থাকে, তাঁর বেসিক বেতন বেড়ে হবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ হল বেতন এবং পেনশন গণনার জন্য ব্যবহৃত একটি একক। বলে রাখা ভালো, সপ্তম পে কমিশনে আবেদন করা হয়েছিল ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ যেন ৩.৬৮ করা হয়। কিন্তু তা হয় ২.৫৭। এবার ওই অঙ্কে পৌঁছনো যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর সপ্তম পে কমিশন পেশ করা হয়। কিন্তু তা কার্যকর হয় ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। যদিও তার অনুমোদন দিয়েছিল মনমোহন সিং প্রশাসন, ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। এর আগে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ পে কমিশনেরও মেয়াদ ছিল ১০ বছর।