• ভারতেই তৈরি হবে যাত্রীবাহী বিমান SJ-100, রুশ সংস্থার সঙ্গে ‘মউ’ সাক্ষর HAL-এর
    প্রতিদিন | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে আরও এক কদম। বিদেশি নির্ভরতা কমাতে এবার দেশেই যাত্রীবাহী বিমান তৈরির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট কর্পোরেশনে’র ‘মউ’ সাক্ষর করেছে ভারতের ‘হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড’ বা হ্যাল। গত ২৭ অক্টোবর মস্কোতে সাক্ষরিত হয়েছে এই চুক্তি।

    ভারতের মাটিতে তৈরি হতে চলা এসজে-১০০ মাঝারি মাপের যাত্রীবাহী বিমান। দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই বিমানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গোটা বিশ্বে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি বাণিজ্যিক বিমান সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় এই সিরিজের বিমান। স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। আন্তর্দেশিয় বিমান পরিষেবায় জোর দিতে উড়ান প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বের উড়ানে কার্যকরী ভূমিকা নেবে এই বিমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ১০ বছরে এই ধরনের উড়ানের জন্য ২০০টির বেশি বিমানের প্রয়োজন রয়েছে ভারতের। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিদেশি পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে যাতায়াতের জন্য ৩৫০টি বিমানের প্রয়োজন। সেই ঘাটতি পূরণ করতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে দেশে তৈরি এই বিমান।

    সোমবার এই চুক্তি সাক্ষরিত সাক্ষরিত হওয়ার পর হ্যালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “হ্যাল এবং ইউএসি-র মধ্যে এই সহযোগিতা দুই সংস্থার পারস্পরিক আস্থার ফল। এই প্রথম ভারতে সম্পূর্ণ যাত্রীবাহী বিমান তৈরি করা হবে।” উল্লেখ্য দৃষ্টিকোণ থেকে এই মউ সাক্ষর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ হ্যালের তরফে প্রথমবার দেশে যাত্রীবাহী বিমান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৬১ সালে। যার মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত হয় অভ্র এইচএস-৭৪৮ বিমান। তবে ১৯৮৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। অনুমান করা হচ্ছে, এই উদ্যোগ লোকসানে চলতে থাকা হ্যালের শেয়ারেও জোয়ার আনবে।

    উল্লেখ্য, বর্তমানে যাত্রীবাহী বিমান তৈরিতে গোটা বিশ্বে আধিপত্য রয়েছে মার্কিন সংস্থা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাসের। এবার দেশে বিমান তৈরির ফলে বিশেষজ্ঞদের আশা, এই উদ্যোগ বোয়িং ও এয়ারবাসের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে। পাশাপাশি দেশীয় বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)