সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করে খুন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীকে কয়েক টুকরো করে বস্তাবন্দি করে ভাসিয়ে দেওয়া হয়! বীরভূমের রামপুরহাটের সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শিক্ষক মনোজ পাল। আজ, মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে ওই মামলায় চার্জগঠন হল। এদিন সকালেই অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চাননি তিনি। কেবল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।
সেপ্টেম্বর মাসে ওই ছাত্রীর টুকরো করা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক মনোজ পালকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ একত্র করতে থাকেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তারির ১০ দিনের মাথায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ধৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দ্রুত মামলার শুনানি করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি তোলে মৃতার পরিবার। ওই শিক্ষকের ফাঁসির দাবি তুলেছেন ওই ছাত্রীর মা। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সব তথ্য হাজির। এমনকী পরীক্ষাগারের সব রিপোর্টও হাতে। আইনের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করব।’’
আজ, মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে মনোজকে নিয়ে আসা হয়। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতের ভিতর যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন মনোজ। আদালত সূত্রের খবর, চার্জশিটে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারাও রাখা হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ইতিমধ্যেই আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন, এই মামলার ট্রায়াল দ্রুত শুরু হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কঠোরতম শাস্তি হবে।