সুমন করাতি, হুগলি: আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু এসআইআর। তা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। তবে রাজ্য়ে এসআইআর হলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশা বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। হুগলির চন্দননগরের আদি হালদার পাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপে গিয়ে একথাই বললেন তিনি।
রাজ্যপাল বোস বলেন, “এসআইআর হল একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। দেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এটা করা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী মত থাকতে পারে। আমাদের সংবিধান ও গণতন্ত্র যথেষ্ট মজবুত। যেকোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। যেকোনও অশান্তি হলে তা সামাল দেওয়া সম্ভব। আমি মনে করি এসআইআর নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।” বলে রাখা ভালো, ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাদ দিয়ে স্বচ্ছ তালিকা তৈরির উদ্দেশে SIR করার সিদ্ধান্ত কমিশনের। বিজেপির দাবি, এসআইআর হলে বহু ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। তাতে আখেরে ক্ষতি হবে তৃণমূলের। যদিও রাজ্যের শাসক শিবির সে দাবি খারিজ করে দিয়েছে। তাদের হুঁশিয়ারি, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ গেলে দিল্লিতে গিয়ে কমিশন ঘেরাও করা হবে।
এদিকে, চন্দননগরের আদি হালদারপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করেন তিনি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। আদি হালদারপাড়ার পুজো ঠিক কতদিনের তার হিসাব পাওয়া যায় না। তাই বুড়িমা নামে পরিচিত এই পুজো। রাজ্যপাল বেশ কিছুটা সময় পুজো মণ্ডপে কাটান।
পুজো কমিটিকে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। পুজো কমিটির সভাপতি দীপাঞ্জন গুহ বলেন, “প্রতিমা, মণ্ডপ, আবহে মুগ্ধ রাজ্যপাল। পুজো কমিটির আপ্যায়নে খুশি হয়ে রাজ্যপাল এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাতে আমরাও খুশি।”