অর্ণব আইচ: সিবিআইয়ের এসএসসি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন আলিপুর আদালত কক্ষের মধ্যেই তীব্র উত্তেজনা। বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন সিবিআই এবং অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে শেষমেশ চিৎকার করতে করতে আদালত কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান সিবিআই আইনজীবীরা। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় আদালত চত্বরে। জানা যাচ্ছে, ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন আলিপুর আদালতের বিচারকও। শেষমেশ সিবিআই আইনজীবীকে ছাড়াই সাক্ষ্যগ্রহণ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে ঘটনার বিস্তারিত শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছেন সিবিআই আইনজীবীরা। এমনকী ওই এজলাস বয়কটের পথেও সিবিআই হাঁটতে পারে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই সিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আদালতে এসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আইনজীবীদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিচ্ছেন। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে
আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারপর্বে দ্বিতীয় দফায় মাধ্যমিক বোর্ডের এক টেকনিক্যাল অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সোমবারের পর আজ মঙ্গলবার ওই অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছিল। মূলত এদিন সবপক্ষের আইনজীবীরা ওই অফিসারকে জেরা করছিলেন। তা চলাকালীন দুপক্ষ অর্থাৎ সিবিআই এবং অভিযুক্তের আইনজীবীরা বাকবিতণ্ডার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, জেরা পর্ব চলাকালীন সিবিআই আইনজীবীরা চিৎকার করছিলেন। এমনকী সিবিআইয়ের আইনজীবী সন্দীপ চৌধুরী বাধা দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবীদের পালটা দাবি, সাক্ষীকে তাঁরা যখন জেরা করছিলেন সেই সময় তাঁদেরকেই বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
যা নিয়ে একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। এই অবস্থায় আদালত সিবিআইয়ের বর্ষীয়ান আইনজীবীর কাছে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য তলব করে। তা না দেখিয়েই আদালত কক্ষ ছেড়ে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাতে আদালত আরও উষ্মা প্রকাশ করে এবং সিবিআইকে ছাড়াই জেরা পর্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এই আদালত বয়কটের কথাও জানায় সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই আইনজীবীরা এই আদালতের ভূমিকা শীর্ষ আধিকারিকদের অবহিত করেছেন। এখন দেখার এই অবস্থা কোন দিকে মোড় নেয়।