নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: এসআইআরের নামে সংখ্যালঘু ভোটারদের এবং যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেন তাঁদের চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে নাম দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আজ, মঙ্গলবার এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এর বিরুদ্ধে তুমুল সংঘাত হবে, রাজনৈতিক সংঘাত হবে। পাশাপাশি যুব তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন সভাপতি সৈকতবাবু বলেন, বিএলওদের সঙ্গে প্রতিটি বুথে আমাদের দলের যাঁরা বিএলএ রয়েছেন তাঁরাও যেন বাড়ি বাড়ি যান। মানুষ যাতে সমস্ত নথি তুলে ধরতে পারেন তা দেখতে হবে। এই আবেদন রাখছি। বিহারে যেমন বাড়িতে বসে বিএলওরা ভোটারদের নাম বাদ দিয়েছেন এখানে যেন তা কোনওভাবেই না হয়। সেটি দেখতেই হবে। সৈকতবাবুর অভিযোগ, বিজেপিকে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আনতেই এসআইআর। নির্বাচন কমিশন কার্যত বিজেপির দালালে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে যতই এসআইআর হোক না কেন আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূল ২৫০ আসন পাবে বলেই তাঁর দাবি। এসআইআর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। উদ্বেগ, আতঙ্ক কাজ করছে। সেই কারণেই বৈধ ভোটারদের পাশে দাঁড়াতে জলপাইগুড়ি শহরে ছ’টি ক্যাম্প করার কথা ঘোষণা করেন তিনি।এসআইআরের পাশাপাশি মাদকমুক্ত জলপাইগুড়ি শহর গড়তে সচেতনতা অভিযানেও নামা হচ্ছে বলে জানান সৈকতবাবু। তাঁর অভিযোগ, সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকছে। সেই মাদক বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যুব সমাজকে মাদকের নেশায় আসক্ত করা হচ্ছে। তারপর তাঁদের দিয়েই মাদক বিক্রি করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে জনচেতনা যাত্রা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন। জানান, ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে লিফলেটও ছাপানো হচ্ছে। সেখানে ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। কোথাও মাদক বিক্রির খবর পেলেই বাসিন্দারা ওই নম্বরে ফোন করে খবর দিতে পারেন। যিনি খবর দেবেন, তাঁর নাম গোপন রাখা হবে। তবে মাদক বিরোধী অভিযানে তাঁরা যেন নিজেদের হাতে আইন তুলে না নেন, এই আবেদনও জানান সৈকতবাবু। এদিন তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আসা মাত্র তা পুলিশকে জানানো হবে।