দিব্যেন্দু সরকার: মুন্ডেশ্বরী নদী থেকে বালি পাচারের প্রতিবাদ করায় গ্রামে ঢুকে হামলার অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪ জন। এমনকি বর্তমান তৃণমূল বুথ সভাপতিকেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের উপর অভিযোগ তুললেও বিজেপির দাবি শাসকদলের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এই আক্রান্তের ঘটনা।
অভিযোগ, আরামবাগের মলয়পুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি পাচার করে যাচ্ছে এলাকারই বেশ কিছু বালি মাফিয়া। কখনও প্রকাশ্যে আবার কখনও রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে করে মুন্ডেশ্বরী নদী থেকে বালি তুলে তা পাচার করা হয়। তারই প্রতিবাদ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও সহ প্রাক্তন উপপ্রধান সঞ্জিব মালিক ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য রীতা ঘোড়ুই। সেই অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গিয়ে বালি পাচার বন্ধ করে দেয় বলে দাবি।
অভিযোগ যে,তার পরেই সোমবার রাতে গ্রামে ঢুকে একের পর এক বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিতে শুরু করে বালি মাফিয়ারা। এমনকি প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান সঞ্জীব মালিক ও বর্তমান তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রীতা ঘোরুইকে মারধর করে। তাদের বাধা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আক্রান্ত হয় ৪ জন।
তাদের আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়।
ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সেখ মিনহাজের দাবি, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে। তার প্রতিবাদ করায় তাদের দলের কর্মীদের ও জনপ্রতিনিধিদের মারধর করা হয়।
তবে ঘটনায় আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ দাবি করেন, বালি মাফিয়াদের সঙ্গে উপরতলা পর্যন্ত যোগাযোগ রয়েছে। তাই এত দাপাদাপি। এখানেও তৃণমূলের নিজদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা ঠিক মতো হয়নি বলে এই ঘটনা।
যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে দলকে জানানোর পাশাপাশি পুলিস কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আরামবাগ তৃণমূল সাংসদ মিতালী বাগ। তিনি বলেন,অবৈধ ভাবে কিছু হয়ে থাকলে বা কেউ কিছু করলে আমি নিশ্চই ব্যবস্থা নেব।অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।