সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় বড়সড় ধাক্কা খেল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। সরকারি স্থানে বা জনসমক্ষে জমায়েত নিয়ে সরকারি নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্টের ধারওয়াদ বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দিল, এখনই প্রকাশ্য স্থানে জমায়েতের উপর কড়াকড়ি শুরু করা যাবে না।
দিন দশেক আগেই কর্নাটক সরকার ২০১৩ সালের একটি সরকারি নির্দেশিকা নতুন করে প্রকাশ করে। বলা হয়, জনসমক্ষে কিংবা সরকারি জমিতে ১০ জনের বেশি লোকের জমায়েতের জন্য পূর্ব অনুমতি লাগবে। কোনও স্কুল-কলেজ বা সরকারি সম্পত্তিতে কোনওরকম বেসরকারি সংস্থা বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অনুমতি ছাড়া কার্যকলাপ করতে পাারবে না। ওই নির্দেশিকা জারি করা হয় মূলত আরএএসএসের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। সচরাচর আরএসএসের শাখা সরকারি স্কুল-কলেজে চলে। স্বয়ংসেবকদের শরীরচর্চা বা অন্য কর্মসূচির জন্যও সরকারি সম্পত্তি ব্যবহৃত হয়। সে সব বন্ধ করে দিতেই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ অক্টোবর মামলা দায়ের করে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মামলাকারীদের দাবি, জনসমক্ষে ১০ জনের বেশি জমায়েত না করার নির্দেশ আসলে মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। এই নির্দেশ কার্যকর করলে মানুষ কোনও ছোটখাট সামাজিক অনুষ্ঠানও হবে না। কর্নাটক হাই কোর্টের ধারওয়াদ সার্কিট বেঞ্চ ওই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল। আগামী ১৭ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত ওই নির্দেশিকা কার্যকর করা যাবে না।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গে কর্নাটকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আরএসএস অসাংবিধানিক কার্যকলাপে জড়িত। দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে কর্নাটকে। খাড়গের আরজির পরই সংঘের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের ভাবনা কংগ্রেস সরকারের। ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পর সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবে সরকার। ফলে এই সময়েই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পরে জরুরি অবস্থাতেও সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি।