• চন্দননগরে বড় বিপর্যয়, ভেঙে পড়ল সব থেকে বড় জগদ্ধাত্রী!
    প্রতিদিন | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: চন্দননগরে বড়সড় বিপর্যয়। জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভেঙে পড়ল সব চেয়ে বড় প্রতিমা! মণ্ডপের একটা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ঘটনায়  সাতজন জখম বলে প্রাথমিকভাবে খবর। এই অবস্থায় ওই মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কানাইলালপল্লি এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। 

    বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মন্থা ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ওই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। সরাসরি না পড়লেও বাংলার উপকূল এলাকা ও উত্তরবঙ্গে মন্থার প্রভাব পড়বে বলে খবর। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আজ, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি হবে বলে খবর। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য প্রসিদ্ধ। আজ, মঙ্গলবার পুজোর সপ্তমী। মণ্ডপ, প্রতিমা দেখতে সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন। তার মধ্যেই ঘটে গেল বড় বিপর্যয়।

    এদিন দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার বদল ঘটতে শুরু করে। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি চলতে থাকে। কানাইলালপল্লির ওই মণ্ডপ এবার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রে। কারণ, ৭৫ ফুটের ফাইবারের জগদ্ধাত্রীর মূর্তি বানানো হয়েছে। সব থেকে বড় জগদ্ধাত্রী বলে প্রচারও হয়েছে। স্বভাবতই ওই পুজো মণ্ডপ দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এদিন দুপুরের পর ঝড়বৃষ্টিতে কার্যত হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই বিশাল বড় মূর্তি। শুধু তাই নয়, ভেঙে পড়ে মণ্ডপের একাংশ।

    দুর্ঘটনার সময় অনেক দর্শনার্থী ছিলেন সেখানে। হুড়মুড় করে সেই ফাইবারের মূর্তি সামনে ভেঙে পড়ে। মূর্তি ও মণ্ডপের একাংশ ভেঙে কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর। সাত জখমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ভেঙে পড়া মণ্ডপের নিচে কেউ আটকে পড়েছেন কিনা, তা দেখা হচ্ছে। ওই পুজো মণ্ডপ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “দুপুরের দিকে ঝোড়ো হাওয়ায় কানাইলাল পল্লির মণ্ডপ ভেঙে যায়। কপাল ভালো কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যদিও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ, দমকল, সিভিল ডিফেন্স, কর্পোরেশনের তৎপরতায় তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে। ভিতরে কেউ ছিলেন না।”  আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, “জাজমেন্টে গিয়েছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখি হাওয়া দিচ্ছে। আমরা আবার বললাম, আপনাদের মণ্ডপ ঠিক আছে তো? বলতে বলতে দেখি প্যান্ডেল হেলে যাচ্ছে। আমরা তো প্রাণপণে ছুট লাগাই। অত বড় স্ট্রাকচার। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।” 
  • Link to this news (প্রতিদিন)