প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে, আশ্বাস দিয়েছিল পরিবার, তার আগেই মর্মান্তিক পরিণতি অপ্রাপ্তবয়স্ক যুগলের!
প্রতিদিন | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
অর্ক দে, বর্ধমান: অপ্রাপ্তবয়স্ক যুগলের দেহ উদ্ধার হল নদীর পাড়ে। একটি গাছের ডালে শাড়ির ফাঁস লাগানো দুটি মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই দু’জন বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে তাদের বিয়ের জন্য এখনই দুই পরিবার সম্মতি দেয়নি বলে খবর। তার জেরেই কি নিজেদের এভাবে শেষ করে দিল যুগল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, গলসির আউশগ্রামের তকিপুরে ওই যুগলের বাড়ি। বয়সের দিক থেকে তারা নাবালক-নাবালিকা। এদিকে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার জন্য প্রবল ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল দু’জনেই। তাদের ভালোবাসার সম্পর্কের কথা দুই পরিবারের সদস্যরাই জানতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে কখনওই তাঁরা বাধা হননি বলে খবর। নাবালক-নাবালিকার বিয়ে আইনত নিষিদ্ধ। ফলে এখনই বিয়ে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল দুই পরিবার। সেই কথা মেনে নিতে পারেনি ওই যুগল। সেই বিষয়ে বহুবার তাদের বোঝানোর চেষ্টাও হয়। এমনই দাবি পরিবারের সদস্যদের।
শনিবার দু’জন নিখোঁজ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাদের সন্ধান মেলেনি। পুলিশেও বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ, এর আগেও দু’জনে বাড়িছাড়া হয়েছিল। পরে পুলিশ তাদের বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিল। দু’জনকে খোঁজ শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। গতকাল, সোমবার সন্ধ্যার পর যুগলের দেহ গাছে ঝুলতে দেখা যায়। গলসির জয়কৃষ্ণপুরের সাহেবডাঙা গ্রামে খড়িনদীর পাড়ে একটি গাছে শাড়ির ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। গলসি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ দুটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।