• চন্দননগরে ভেঙে পড়ল জগদ্ধাত্রী পুজোর ‘সবচেয়ে বড়’ মণ্ডপ! চাপা পড়ে জখম দর্শনার্থীরা, ঝড়ে তোরণ ভাঙল তমলুকেও
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • উদ্দেশ্য ছিল, দর্শনার্থী এবং ভক্তদের চমক দেওয়া। ট্যাগলাইন ছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী’। হুগলির চন্দননগরে সেই মণ্ডপই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মঙ্গলবার বিকেলে। জখম হলেন বেশ কয়েক জন দর্শনার্থী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও। তবে সেখানে হতাহতের খবর এখনও মেলেনি।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সপ্তমীতেই চন্দননগরে কানাইলালপল্লির পুজোমণ্ডপে ভিড় হয়েছিল। কারণ, এ বারে তাদের চমক ছিল ৭০ ফুটের পুজোমণ্ডপ। মণ্ডপের সামনে ফাইবারের জগদ্ধাত্রী তৈরী করা হয়েছিল। খুব বেশি উচ্চতা হওয়ায় বিকেলে হাওয়ার দমকে উল্টে পড়ে পুরো মণ্ডপটি। বাঁশ চাপা পড়ে জখম হন বেশ কয়েক জন। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। আহত বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মণ্ডপের উচ্চতা বেশি হওয়ায় হালকা হাওয়াতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে গিয়েছে।

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কানাইপল্লির প্যান্ডেল পড়ে গিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ এবং দমকল পৌঁছোয়। কয়েক জন চাপা পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘‘সবাই ঠিক আছেন এখন। প্যান্ডেলের ‘স্ট্রাকচার’ সরিয়ে দেখা গিয়েছে, নীচে কেউ চাপা পড়ে নেই। স্থানীয় লোকজন ভাল কাজ করেছেন (উদ্ধারের)। পুজো কমিটিকে বলা হয়েছে, আগে প্যান্ডেলের কাঠামো ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে। তার পর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে। তবে মায়ের পুজো আটকাবে না।’’

    ‘মন্থা’র প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিকেলে দমকা হাওয়ায় তমলুকের হাকোল্লা এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য তৈরি বিশালাকার তোরণ ভেঙে পড়ে রাস্তায়। দীর্ঘ ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। ঝড়ের দাপট কমলে পুজো কমিটির সদস্যেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে রাস্তা থেকে বাঁশের কাঠামো সরিয়েছেন।

    স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বিকেল থেকে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে তোরণটি ভেঙে পড়তে দেখে আশপাশে থাকা কয়েক জন চিৎকার-চেঁচামেচি করে দৌড়ে পালান। তার ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ মেনে দিঘা-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)