• কালীঘাটে জোয়ারের জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি! টালিনালায় লকগেট তৈরির জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ জানাল পুরসভা
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • জোয়ারের জল এলেই কালীঘাট, কেওড়াতলা ও চেতলার বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসত বছরের পর বছর। টালিনালার পাড়ের বাসিন্দারা পলি-সহ জোয়ারের জল ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়তেন। জল নামতে সময় লাগত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেই চিরাচরিত জল যন্ত্রণা থেকে এ বার রেহাই মিলতে চলেছে— জানালেন কলকাতা পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, টালিনালার সংস্কার ঘিরে আগেই ৮১৭ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্পের অধীনে নালা সংস্কার, ড্রেজিং এবং নিকাশি উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য এ বার পুরসভা আরও এক ধাপ এগোচ্ছে— টালি নালার মুখে নির্মাণ করা হবে আধুনিক লকগেট।

    মেয়র জানিয়েছেন, নতুন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় দু’বছর। গঙ্গা ও টালিনালার সংযোগস্থলে, দইঘাটের কাছে তৈরি হবে এই লকগেট। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই গেট চালু হলে জোয়ারের জল আর কালীঘাট বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকতে পারবে না। ফলে জল জমে থাকার সমস্যা কার্যত চিরতরে মিটে যাবে।

    এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে কলকাতা পুরসভার ৭৩, ৮৩ ও ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ যে, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেই বাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে জোয়ারের সময় তার বাসভবনেও জল ঢুকে পড়েছিল বলে জানা যায়। কালীঘাট রোড থেকে টালিগঞ্জ রোড, কালীঘাট বাজার, বড় গলি, চক্রবর্তীপাড়া, মায়ের সদরঘাট, মেটে গলি, মিষ্টি গলি, গদার মাঠ, নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ফার্স্ট লেন-সহ কালীঘাট মন্দির চত্বরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়। অনেকের ঘরেও জল ঢুকে যায়। তাই এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, “লকগেট হলে অবশেষে কালীঘাটের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।” মেয়রের নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ড ঠিক করেছে, টালিনালা ও গঙ্গার সংযোগস্থল দইঘাটে ব্যারাজ তৈরি করা হবে। প্রায় ২৫ ফুট উঁচু ও ৪২ মিটার দীর্ঘ হবে ব্যারাজটি। সেই সঙ্গে তৈরি হবে একটি পাম্পিং স্টেশন। আগে এই প্রকল্প নিকাশি বিভাগের হাতে থাকলেও বর্তমানে সেই কাজ পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ করছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)