• ধুমধাম করে উদ্বোধনই সার! যোগীরাজ্যে ভোটের পর বন্ধ ৭ বিমানবন্দর
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • লখনউ: ‘হাওয়াই চপ্পল’ পরা জনতাও ‘হাওয়াই জাহাজে’ সফর করবে। ভোট এলেই ‘স্বপ্ন ফেরি’ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন হয় একের পর এক বিমানবন্দরের। আর ভোট মিটলেই ভ্যানিশ প্লেন। রানওয়ে ফাঁকা। স্থগিত পরিষেবা। নিন্দুকরা বলছেন, এও এক জুমলা। ভোটের গিমিক। আর এই ভোজবাজি সবচেয়ে বড় উদাহরণ উত্তরপ্রদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে উদ্বোধনের পর বন্ধ হয়েছে সাত-সাতটি বিমানবন্দর। এই তালিকায় রয়েছে শ্রাবস্তীর মতো একটি ছোট জনপদও। সেখানে রেলস্টেশন না থাকলেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল এয়ারপোর্ট। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে বিমান পরিষেবা স্থগিত হয়েছে সেখানেও। তবে তা সত্ত্বেও আরও পাঁচ জেলায় নির্মীয়মাণ ও প্রস্তাব স্তরে রয়েছে নতুন বিমানবন্দরের কাজ। সেগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ২০২৪ সালের ১০ মার্চ। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন চিত্রকূট বিমানবন্দরের। বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি প্রথম এই বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা শুরুও হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে চিত্রকূট ও লখনউয়ের মধ্যে সপ্তাহে চারদিন করে বিমান চলাচল করত। কিন্তু চার মাস পর থেকে ক্রমেই কমতে শুরু করে উড়ানের সংখ্যা। ২০২৪ সালেই ১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। প্রায় এক বছর হল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রয়েছে চিত্রকূট এয়ারপোর্ট।

    ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উদ্বোধন হয়েছিল কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভোজপুরী ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, আপনাদের সব স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু আড়ম্বর সহযোগে উদ্বোধন ও বিমান পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর পরিষেবা স্থগিত হয়ে যায়। একই পরিণতির সাক্ষী আজমগড়, আলিগড়, মোরাদাবাদ, শ্রাবস্তী ও শাহরানপুর বিমানবন্দরের।   
  • Link to this news (বর্তমান)