• নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ মহাজোটের, বিহারে কং প্রচারের নেতৃত্বে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • পাটনা: বহু টানাপোড়েন পেরিয়ে ক’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছিল তেজস্বী যাদবের। আর মঙ্গলবার বিহারে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিরোধী মহাজোট শিবির। সেখানেও রীতিমতো ‘তেজস্বী-রাজ’। আরজেডি, কংগ্রেস, ভিআইপি ও বামদলগুলির এই যৌথ ইস্তাহারের নাম ‘তেজস্বী কা প্রণ’। গোদা বাংলায় ‘তেজস্বীর সংকল্প’। সঙ্গে প্রচ্ছদে লালু-পুত্রের বিশাল ছবিও। সেখানে অন্য শরিক নেতাদের মতোই তুলনায় ছোট আকারে রয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ছবিও। প্রচ্ছদের ছবিতে থাকলেও ইস্তাহার প্রকাশের মঞ্চে গরহাজির রইলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। ফলে বিরোধী জোটের কোন্দলের জেরে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’য়ের মতোই রাহুল গান্ধীর এই অনুপস্থিতি নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। তেজস্বী-রাহুল ‘দোস্তি’র ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনার মধ্যেই অবশ্য মহাজোট প্রকাশিত ইস্তাহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পরিবার পিছু একটি করে সরকারি চাকরি, মহিলাদের জন্য মাসে আড়াই হাজার করে ভাতা, প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে ২০০ ইউনিট করে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং মহাজোট ক্ষমতায় এলে সংসদে পাশ হওয়া সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিহারে চালু না হতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এছাড়া, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য ভাতা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তেজস্বী। নীতীশ কুমার সরকারের আমলে মদের উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়েও ভাবনা-চিন্তার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।   

    বিহারে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারের স্লোগান, ‘সম্পূর্ণ বিহার কা সম্পূর্ণ পরিবর্তন— তেজস্বী প্রতিজ্ঞা, তেজস্বী প্রণ’। অর্থাৎ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ছত্রে ছত্রে প্রধান্য পেয়েছেন লালু-পুত্রই। ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা গিয়েছে একমাত্র রাহুল গান্ধী ছাড়া শরিক দলগুলির শীর্ষনেতাদের। রাহুল না এলেও কংগ্রেসের তরফে মঞ্চে ছিলেন পবন খেরা। জোটের জট নিয়ে জল্পনা এড়াতে তিনি বলেন, বিরোধীরাই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তেজস্বী যাদবের নাম ঘোষণা করেছিল। এরই মধ্যে অবশ্য বিহারে কংগ্রেসের তারকা প্রচারকদের নির্ঘণ্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসছে। কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে। প্রথম দফায় ২৯ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে রাহুল গান্ধী প্রায় ১২টি সভা করবেন। বেশ কিছু আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ সত্ত্বেও জোটের একতায় যে ফাটল ধরেনি, সেই বার্তা তুলে ধরতে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যৌথ সভাও থাকছে রাহুলের সূচিতে। ২৯ অক্টোবর তেজস্বীর সঙ্গে প্রথম যৌথ সভাটি হবে সাকরাতে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রথম সভা করবেন বেগুসরাইয়ের বাচওয়ারায়।
  • Link to this news (বর্তমান)