বাংলার সঙ্গে বিহারেরও ভোটার প্রশান্ত কিশোর, শো-কজ করল কমিশন
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
পাটনা ও কলকাতা: বাংলা ও বিহার, দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। আর তা নিয়েই এবার বিপাকে প্রশান্ত কিশোর। জন সুরাজ পার্টির সুপ্রিমোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো-কজ) পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রশান্ত কিশোরকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর এই নোটিশ ঘিরেই রীতিমতো উত্তপ্ত ভোটমুখী বিহারের রাজনীতি। এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করছে প্রশান্তের জন সুরাজ দল ও আরজেডি। অন্যদিকে প্রশান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না এনডিএ শিবিরও।
বিহারের কারগাহার বিধানসভা ক্ষেত্রের রির্টানিং অফিসারের নোটিশ অনুযায়ী, প্রশান্ত সেখানকার ৩৬৭ নম্বর পার্ট (মিডল স্কুল, কোনার, নর্থ সেকশন)-এর ভোটার। যার পোলিং বুথ নম্বর ৬২১ এবং এপিক (ভোটার কার্ড) নম্বর ১০১৩১২৩৭১৮। এটিই প্রশান্তের পিতৃভূমি। অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভবানীপুরের ভোটার হিসেবেও নথিবদ্ধ হয়েছিলেন প্রশান্ত। সেখানে তাঁর পোলিং স্টেশন ছিল বি রানিশঙ্করী লেনের সেন্ট হেলেন স্কুল। কমিশনের দাবি, দু’জায়গাতেই এখনও ভোটার হিসেবে নাম রয়েছে প্রশান্তের।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৭ ধারায় একব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। সেই আইনেরই ৩১ ধারায় নিয়ম উল্লঙ্ঘনে অর্থদণ্ড, ১ বছরের কারাদণ্ড বা উভয়েরই বিধান রয়েছে। এই নোটিশ নিয়ে জন সুরাজ পার্টির মুখপাত্র কুমার সৌরভ সিং বলেছেন, ‘এই ভুলের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এত ধুমধাম করে এসআইআর করার পরও যখন প্রশান্ত কিশোরের মতো মানুষের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকে, তখন বোঝাই যায় কমিশন কতটা কাজ করেছে।’ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি আরজেডিও। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেছেন, ‘বিহারের এসআইআর যে প্রহসন ছিল তা এই ঘটনাতেই প্রমাণ হয়েছে। এনডিএ-র একাধিক নেতার নামও একাধিক রাজ্যে রয়েছে বলে খবর মিলেছে।’
যদিও প্রশান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিহারের ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকার। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমারের অভিযোগ, ‘ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা দিল্লির, তিনি বিহারের বাসিন্দা কিন্তু ভোটার বাংলার। কেন এমনটা প্রয়োজন হয়েছিল? আমাদের সন্দেহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার বিষয়ে গোপন ডিল করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর জন্যই হয়ত তিনি বাংলার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এবং নির্বাচনের পর পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।’