• বালুরঘাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বাড়িতে গয়না চুরি, শহরে পর পর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: চুরির এক তদন্ত শেষ না হতেই, আরও এক তদন্ত ঘাড়ে পড়ল পুলিশের। রবিবার রাতে মন্দিরে চুরির পর এবার ফের এক বাড়িতে চুরি হল। বাড়ির মালিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এনিয়ে শোরগোল পড়েছে বালুরঘাট শহরের চকভৃগুর বিবেকানন্দপল্লিতে। ওই জওয়ান ভিনরাজ্যে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে, তাঁর স্ত্রী বাড়ির বাইরে ছিলেন। 

    সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে গ্রিলের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা। তারা সোনার ১০ ভরি গয়না ও বেশকিছু রূপো নিয়ে পালিয়েছে। এছাড়াও কিছু নগদ ও ঠাকুরঘরের বাসনপত্র সহ বাড়ি লন্ডভন্ড করে নানা সামগ্রী চুরি করেছে। সোমবার বিকেলে বাড়ি আসতেই চক্ষু চড়কগাছ জওয়ানের স্ত্রীর। এনিয়ে  তিনি বালুরঘাট থানায় মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে বালুরঘাট শহরে চুরির ঘটনা বাড়ছে। শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় পরপর চুরি হচ্ছে। রবিবারই শহরে একটি কালী মন্দিরে চুরি হয়েছে। মঙ্গলবারও চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    যদিও পুলিশের তরফে দুষ্কৃতীদের ধরতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এলাকার সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বালুরঘাটের ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের নাম গোবিন্দ চন্দ্র দাস। তিনি সিআইএসএফে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না দাস বলেন, আমি কয়েকদিন বাড়িতে ছিলাম না। সোমবার বিকেলে বাড়ি এসে দেখি ঘরের গ্রিল ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি পুরো ঘর লন্ডভন্ড। আলমারি থেকে আমার সমস্ত গয়না চুরি হয়েছে। এছাড়াও বাড়ির অনেক সামগ্রী চুরি হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। 

    দুর্গাপুজোর পর থেকেই বালুরঘাট শহর ও শহর লাগোয়া এলাকাগুলিতে চুরির ঘটনা বাড়ছে। বালুরঘাটের নলতাহার মোড়ে পরপর কয়েকটি দোকানে চুরি হয়। বালুরঘাট ব্লকের ধাউল হাটেও কয়েকটি দোকানে চুরি হয়েছে। এছাড়াও বালুরঘাটের ভাটপাড়া, চকভৃগু বিবেকানন্দপল্লি সহ অনেক জায়গাতেই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।

    সোমবার সকালে শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড লাগোয়া বায়রা কালীমন্দিরেও চুরি হয়েছে। দুই একটি চুরির ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরা হলেও বেশিরভাগ চুরির ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। চোরকে খুঁজতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। শহরে পুলিশের তরফে রাতে নজরদারিও চলছে। তবুও দু্‌ষ্কৃতীরা পুলিশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েই চুরি করছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী। 

    বালুরঘাট শহরের এক শিক্ষক অপূর্ব কুমার মণ্ডল বলেন, বেশিরভাগই নেশাগ্রস্ত হয়ে এই চুরিগুলি করছে। ফলে শহরে চুরির ঘটনা বাড়ছে। তাই এবিষয়ে সাধারণ মানুষকেও যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি পুলিশকেও আরও নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)