এনজেপিতে বধূ খুন: ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ধরে তদন্ত গুটিয়ে আনার চেষ্টা পুলিশের
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: খুনের তদন্তে নেমে অভিযুক্তের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট অর্থাৎ আততায়ীর মোবাইল ফোনের অতীত ও বর্তমান অবস্থান ধরেই এগচ্ছেন নিউ জলপাইগুড়ি থানার তদন্তকারীরা। হোটেলে দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে একদিকে যেমন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশ পেয়েছে, ঠিক তেমনই ওই মহিলা যে অভিযুক্তের স্ত্রী নয় তা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীদের একাংশ।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের অতীতের লোকেশন ধরে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন শিলিগুড়িতে আসার আগে বিহার নয় অন্য এক জায়গায় মিলিত হয়েছিল দু’জন। এরপর সেখান থেকে পূজা দাস (২৫) ও অভিযুক্ত ব্যক্তি শিলিগুড়িতে আসে। খুনের ধরন ও দু’জনের গতিবিধি দেখে পরকীয়া সম্পর্ক হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইতিমধ্যে যে ঠিকানা পুলিশ হোটেল থেকে পেয়েছিল, তাতে অন্য এক মহিলার খবরও পাওয়া গিয়েছে। সেই থেকেই পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এধরনের পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ধরে অভিযুক্তের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। গোপন ঘাঁটি থেকে বের হলেই তাকে হাতেনাতে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সবটাই পরিষ্কার হবে অভিযুক্তকে ধরার পর।
গত ২৪ অক্টোবর শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন হোটেল থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা এক ব্যক্তি ও ছোট শিশুকে নিয়ে হোটেলে এসেছিলেন ওই মহিলা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই ব্যক্তিই মহিলাকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। হোটেল ও এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্তের নথি ও মোবাইল নম্বর ধরে তদন্ত গতি নিয়েছে। যদিও ঘটনার চার দিন পরে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, আমরা বর্তমানে তদন্তে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। যে সকল তথ্য আমাদের হাতে এসেছে সেই সূত্র ধরেই আমরা খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করব।