• সহায়ক মূল্য বাড়ায় ধান বিক্রিতে আগ্রহী বহু চাষি, এক লক্ষ ৬০ হাজারের সঙ্গে তালিকায় বহু নতুন নাম
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সহায়ক মূল্য বাড়ানোয় বীরভূম জেলায় চাষিদের ধান বিক্রিতে আগ্রহ বেড়েছে। গতবছরের এক লক্ষ ৬০ হাজার চাষির নাম তো রয়েছেই। নতুন করে অনেকেই ধান বিক্রি করতে চেয়ে নাম নথিভুক্ত করছেন। অনেকে বাড়িতে বসে অনলাইনে বুক করছেন। ধান বিক্রির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। জেলার খাদ্য নিয়ামক বাবুয়া সর্দার বলেন, সহায়ক মূল্য বাড়ায় ধান বিক্রিতে চাষিদের আগ্রহ বাড়বে। এখন পুরোদমে ধান কাটা হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে জেলাজুড়ে ধান কেনা শুরু হয়ে যাবে।  

    গতবছর ধানের কুইন্টাল প্রতি সহায়ক মূল্য ছিল ২৩০০ টাকা। এবছর সেই সহায়ক মূল্য একলাফে কুইন্ট্যাল প্রতি ৬৯ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৩৬৯ টাকা। সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে এনে বিক্রি করলে মিলবে অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা। গত বছর জেলার প্রতিটি ব্লক মিলিয়ে পারচেজিং সেন্টার ও মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহ করেছিল খাদ্যদপ্তর। এবারও চাষিদের আগ্রহ দেখে ৪৫টি স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও ১৪টি মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে ধান কেনা হবে। তাছাড়া বহু কো অপারেটিভ সোসাইটি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও ফার্মার প্রোডিউসার অর্গাজা‌ই঩নেশনের মাধ্যমে ধান কেনা হবে। গতবছর  ৩ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। এবার প্রাথমিকভাবে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরপরও যদি কোনও চাষি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে আসেন, তাঁদের ঘোরানো হবে না। অর্থাৎ তখন ধান ক্রয়ের টার্গেট বাড়ানো হবে। ওজন যাতে স্বচ্ছ হয় তার জন্য গতবারের মতোই প্রতিটি ক্রয় কেন্দ্রে ইলেকট্রিক যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা সেই ধান লরিতে চাপিয়ে নিয়ে যাবেন। 

    খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, গতবছর প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার চাষি ধান বিক্রির জন্য নাম রেজিস্ট্রশন করিয়েছিলেন। এবার তাঁদের নতুন করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে না। আর যাঁদের নাম নথিভুক্ত নেই, তাঁরা চাইলে এখনই নাম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এখন মাঠ থেকে ধান পুরো ওঠেনি। ফলে আগে থেকে নাম রেজিস্ট্রেশন করে নিলে ধান তোলার পরই বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। চাইলে বাড়িতে বসেই মোবাইলে অনলাইনে ধান বিক্রির স্লট বুকিং করে নিতে পারবেন চাষিরা। সেক্ষেত্রে সময় নষ্ট হবে না। 

    নলহাটির চাষি অমল মণ্ডল, বিবেকানন্দ মণ্ডলরা বলেন, এবছর ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। উঁচু জমিগুলিতে ধান চাষ ভালো হলেও নিচু জমিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে সরকার ধান কেনার সহায়ক মূল্য বাড়ানোয় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।  

    কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক হল কিছু জায়গায় ধান কাটা ও ঝাড়াইয়ের কাজ চলছে। ফলে এখনই সঠিক কী পরিমাণ ধান এবার উৎপাদন হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা।
  • Link to this news (বর্তমান)