• নাদনঘাটের বিদ্যানগরে বিশ্বাসবাড়িতে জগদ্ধাত্রীপুজোয় অষ্টশিবের আরাধনা
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: নাদনঘাট থানার বিদ্যানগরে বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা জগদ্ধাত্রীপুজো উপলক্ষ্যে অষ্টশিবের আরাধনায় মেতে উঠলেন। মঙ্গলবার ওই বাড়িতে পুরোহিতরা দেবী জগদ্ধাত্রীর পাশাপাশি অষ্টশিবের পূজার্চনা করেন। তা দেখতে এলাকার বহু বাসিন্দা ওই বাড়িতে ভিড় জমান।

    নাদনঘাট থানার বিদ্যানগরে বিশ্বাস পরিবারের বসবাস। বাড়ির কর্তা বিভাস বিশ্বাস বিদ্যানগর গয়ারাম দাস উচ্চ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক। তিনি নানা সামাজিক কাজ ও মঠ-মন্দিরের সঙ্গেও যুক্ত। তাঁর দুই ছেলে অনিকেত বিশ্বাস ও সৌম্যজ্যোতি বিশ্বাস নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। সোমবার ষষ্ঠী থেকে বিশ্বাসবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে। এই পুজো উপলক্ষ্যেই মঙ্গলবার অষ্টশিবের আরাধনা হয়।

    নবদ্বীপে একাধিক শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এর মধ্যে বুড়ো শিব, দণ্ডপাণি, যোগনাথ, তিলেশ্বর, এলানিয়া, পলকেশ্বর, বাণেশ্বর ও বিদ্যানগরের বাবা পঞ্চানন-এই আটটি মন্দিরের শিব খুবই জাগ্রত বলে পরিচিত। বিশ্বাস পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় মঙ্গলবার এই অষ্টশিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রত্যেক মন্দিরের সেবাইত ও পুরোহিতরা শিবলিঙ্গ ও শিলা নিয়ে এদিন বিশ্বাসবাড়িতে আসেন। সকাল থেকে মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে অষ্টশিবের স্নানপর্ব ও পুজোপাঠ চলে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানুষ যেমন আত্মীয়দের বাড়িতে পুজো ও নানা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ রক্ষায় হাজির হন, তেমনি নবদ্বীপের বিভিন্ন শিবমন্দিরের শিব গৃহস্থের বাড়িতে আমন্ত্রণ পেলে তা রক্ষা করেন। সেইমতো মঙ্গলবার বিশ্বাসবাড়িতে নবদ্বীপের অষ্টশিবকে আনা হয়। রাতে কালীপুজোও হয়। পরিবারের মণীষা বিশ্বাস ও সুপর্ণা বিশ্বাস নিজ হাতে পুজোর জোগাড় করেন।বিভাসবাবু বলেন, জগদ্ধাত্রীপুজোর পাশাপাশি নবদ্বীপের অষ্টশিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রত্যেক মন্দিরের সেবাইত ও পুরোহিতরা তাঁদের আরাধ্য শিবলিঙ্গ সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এজন্য আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)