• আসানসোলের ধর্মপল্লিতে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের আদলে জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপ
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে আসানসোলের ধর্মপল্লি এলাকা। পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের আদলে পুজোর মণ্ডপ গড়ে উঠেছে। মণ্ডপের দু’পাশে শ্রীরামকৃষ্ণ ও মা সারদাদেবীর মূর্তিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ধর্মপল্লি সর্বজনীন পুজো কমিটির জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ১৯তম বর্ষে পড়ল। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো একদিনের হয় না। দুর্গাপুজোর মতোই সোমবার ষষ্ঠী থেকেই পুজোর সূচনা হয়েছে। পুজোর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো চলবে। পুজোর পাশাপাশি প্রতিদিন প্রসাদের আয়োজন রয়েছে। 

    এই পুজোর সূচনার সঙ্গে একটি গল্প রয়েছে। ১৯ বছর আগে এলাকার যুবক সুজিত বল সহ কয়েকজন ধর্মপল্লি পুকুরপাড়ে বসে কালী ঠাকুরের বিসর্জন দেখছিলেন। তখনও পাড়ায় কোনও পুজো হতো না। তারাই সেইসময় আলোচনা করে, পাড়ায় একটা পুজো থাকলে আমরা আনন্দ করতে পারতাম। সেই বছরই মাত্র সাতদিনের প্রস্তুতিতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। পুকুরপাড়েই প্রথমে ছোট আকারে পুজো শুরু হয়। তারপর ক্রমেই তা বড় হতে থাকে। তিন বছর পর ধর্মপল্লির বড় মাঠে পুজো স্থানান্তরিত হয়। সময় যত গিয়েছে পুজোর ব্যাপ্তি ততটাই বেড়েছে। এরপরই মণ্ডপ নানা থিমে সাজিয়ে তোলা শুরু হয়। পুজো কমিটির সভাপতি সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বলেন, এবার বেলুড় মঠ থিম হয়েছে। গতবছরের থিম ছিল টেরাকোটা। আগে গড়ে তোলা হয়েছিল এক কৃত্রিম গ্রাম, আনন্দ আশ্রম থিমের পাশাপাশি এবছর বৃহৎ শিবের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুজিত বল বলেন, আমাদের পুজোর প্রসাদ বিতরণে বিশেষত্ব রয়েছে। সপ্তমীতে মালপুয়ো ও বোঁদে, অষ্টমীতে সুজি, লুচি ও বোঁদে, নবমীতে দুপুরে বসিয়ে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। দশমীতে পোলাও ও আলুর দম প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জাও করেছে তারা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)