• ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে ২১ লাখি গেস্ট হাউস, উদ্যোগ পঞ্চায়েত সমিতির
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামে বর্তমানে  বারো মাসই পর্যটকদের কমবেশি ভিড় থাকে। হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে ও লজগুলিতে ঠাঁই নেই অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে লোধাশুলি হোমস্টে গেস্ট হাউস তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পর্যটকদের জন্য গেস্ট হাউসটি যাতে দ্রুত চালু করা যায় তার চেষ্টা চলছে।

    ঝাড়গ্রাম শহরের প্রবেশদ্বার লোধাশুলি। কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়ক লোধাশুলির উপর দিয়ে গিয়েছে। লোধাশুলি মোড় থেকে উত্তরমুখী রাস্তাটি ঝাড়গ্রাম শহরের দিকে এসেছে। জাতীয় সড়ক ধরে পশ্চিমে গেলে গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লকে যাওয়া যায়। মোড় সংলগ্ন জঙ্গলের কাছে লোধাশুলি হোম স্টে ও একতলা গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পঞ্চম অর্থ কমিশনের টাকায় ২০২৩ -২৪ সালে গেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যেই ভবনটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কথা মাথায় রেখে লোধাশুলিতে গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কলকাতা থেকে সড়কপথে লোধাশুলি হয়ে পর্যটকরা ঝাড়গ্ৰাম শহরে পৌঁছান। আবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকেই জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পর্যটকরা বেড়াতে যান। গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্ৰামে গেলে লোধাশুলি হয়ে ঝাড়গ্রাম শহরে ফিরতে হয়। 

    আবার বেলপাহাড়ী এলাকায় গেলে দক্ষিণের পর্যটনস্থলে আসতে দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হয়। লোধাশুলি হোম স্টের ফলে এখন থেকে উত্তর ও দক্ষিণের পর্যটনস্থলে যাওয়ার জন্য বারবার ঘুরপথ ধরতে হবে না। কমবে ভ্রমণের খরচও। 

    ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত সাহা এদিন বলেন, লোধাশুলি হোম স্টে ও গেস্ট হাউস তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই এখানে গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। 

    জেলার পর্যটন শিল্পে যুক্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, বেলপাহাড়ীর জঙ্গল নিয়ে যত প্রচার হয়, নয়াগ্ৰামের জঙ্গল নিয়ে ততটা হয় না। গোপীবল্লভপুর বৈষ্ণবদের আদি তীর্থস্থান। দীঘার জগন্নাথ ধামের মতো এই এলাকার পর্যটন নিয়ে প্রচার হলে পর্যটক সংখ্যাও বাড়বে। সেক্ষেত্রে লোধাশুলির মতো পর্যটন নিবাসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। 

    ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলায় পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে। লোধাশুলির মতো শহরের নিকটবর্তী জায়গায় পর্যটন নিবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পরিকল্পিত এই উদ্যোগ একেবারেই সময়োচিত।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)