নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজোর শেষ। মিটেছে কালীপুজোও। কিন্তু দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে নিরঞ্জন নিয়ে যে ধরনের প্রস্তুতি সরকারিভাবে থাকে, কালীপুজোতে কি ততটা সতর্ক থাকে প্রশাসন? নিমতলা, আহিরীটোলা ঘাটের ছবি সেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ঘাটজুড়ে পড়ে রয়েছে পুজোর উপাচার। সেই সঙ্গে খড় সমেত প্রতিমার কাঠামো কোথাও ঘাটে, কোথাও আবার পাড়ের কাছে গঙ্গার জলের মধ্যেই পড়ে রয়েছে। বিসর্জনের যাবতীয় প্রস্তুতি সামলায় কলকাতা পুরসভা। ফলে, তাঁদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
সপ্তাহের শুরুতেই নিমতলায় দেখা গেল, বেশ কয়েকটি কাঠামো পড়ে রয়েছে ঘাটের পাশে। এমনিতেই নিমতলার ঘাটের একাংশ ভাঙা এবং বিপজ্জনক। তার পাশেই ডাই হয়ে পড়ে রয়েছে কাঠামো। ঘাটজুড়ে পুজোর ভাঙা ঘট, ফুল সহ অন্যান্য উপাচার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নিমতলা ঘাটে ছটের আয়োজনও হয়েছিল। কিন্তু এভাবে পুজোর উপাচার এবং প্রতিমার কাঠামো ঘাটে পড়ে থাকায় তা জলদূষণ করছে বলে অভিযোগ।
প্রশ্ন উঠছে, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে যে ধরনের প্রস্তুতি দেখা যায়, কালীপুজোতে কি সেখানে কোনও ফাঁক থাকে? যদিও কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা তা মানতে নারাজ। পুরকর্তাদের ব্যাখ্যা, দুর্গাপুজোর তুলনায় কালীপুজো অনেক বেশি হয়। প্রায় নয় হাজার কালীপুজোর ভাসান হয় শহরে। তবুও সমস্ত ঘাট পরিষ্কার রাখার চেষ্টা হয়। তবে কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে কাঠামো ঘাটে বা জলে পড়ে থাকলে, সেটা উচিত নয়। সেগুলি তোলার ব্যবস্থা করা হবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ঠাকুরের প্রতিমা জলে পড়া মাত্র ক্রেনে করে তুলে তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। প্লাস্টিক, ফুল, বেলপাতা সহ অন্যান্য পুজোর সামগ্রী জলে ফেলতে দেওয়া হয় না। তবুও সব জায়গায় ১০০% নজর রাখা সম্ভব নয়। তাই কোথাও নদীর পাড়ে বা জলের মধ্যে কাঠামো পড়ে থাকছে। তবে তা দ্রুত তোলানোর ব্যবস্থা হবে।