• রাম মন্দিরের ধ্বজা তোলার প্রশিক্ষণে প্রাক্তন সেনাকর্তারা! সেনা-ধর্ম মিশিয়ে রাজনীতির ছক?
    প্রতিদিন | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোট বৈতরণী পার হতে মোদি ফের রাম ভরসে! বিহার ভোট মিটতেই ফের অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাওয়ার কথা প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ২৫ নভেম্বর মন্দিরে ধ্বজা তোলার কথা মোদির। তার প্রস্তুতিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। ধ্বজা তোলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাঁরা। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা তোলার প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেই জন্যই প্রাক্তন সেনাকর্তারা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন।

    অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই বিহার ভোট। তারপর বছর ঘুরলেই হাফ ডজন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দুত্বের আবেগ উসকে দিতে রাম মন্দিরে ইস্যু সামনে আনতেই এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।

    ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও অসম্পূর্ণ মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। তড়িঘড়ি রাম মন্দির উদ্বোধনের অন্যতম কারণ ছিল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে হিন্দুত্বের আবেগ উসকে দেওয়া। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই কৌশল লোকসভা নির্বাচনে কতখানি ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই ফের রাম মন্দিরকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নভেম্বরের ২৫ তারিখ ১১ কিলোগ্রাম ওজনের ধজা তোলা হবে মন্দিরের চূড়ায়। রাম মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জানান, পতাকাটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে যথাক্রমে ২২ ও ১১ মিটার। অনুষ্ঠানের দিন গোটা ভারতবর্ষ থেকে ৮ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রধানমন্ত্রীর হাজির থাকার কথা, তাই কোনও সাধারণ নাগরিককে সেদিন রাম মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে কেন এই প্রক্রিয়ায় সেনা কর্তাদের নিয়োগ করতে হল? সেই প্রসঙ্গে নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। ঐদিন গোটা অনুষ্ঠানের দিকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী হিন্দু মানুষের নজর থাকবে। তাই সুষ্ঠুভাবে ধ্বজা তোলার কাজটি সম্পন্ন করতেই সেনাকর্তাদের নিয়ে আসা হয়েছে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য।

    কিন্তু রাজনৈতিক মহল এর পেছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে। তাদের মতে, পাহেলগাঁও কাণ্ডের পর অপারেশন সিঁদুর দেশবাসীর মনে দাগ কেটে গিয়েছিল। ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব নিয়ে আবেগে ভেসে ছিল দেশের মানুষ। এবার রাম মন্দিরের সঙ্গে সেনাকে জুড়ে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই জন্যেই ধ্বজা তোলার অনুষ্ঠানের সঙ্গে সেনাকে যুক্ত করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)