দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে মোন্থার প্রভাব নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুরসভা, আগাম প্রস্তুতিতে জোর, বিশেষ নজর জমা জলে
আনন্দবাজার | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে প্রবল বৃষ্টির কারণে নাজেহাল হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। উৎসবের মাঝে জলমগ্ন রাস্তাঘাট নাগরিকদের সমস্যায় ফেলেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এ বার আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আসা মোন্থা ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সমস্ত বিভাগকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই নিকাশি বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ। তাঁর কথায়, “যে কোনও পরিস্থিতিতে শহরের কোথাও জল জমতে না দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। যদি কোথাও জল জমেও যায়, তা দ্রুত নামানোর জন্য সমস্ত পাম্পিং স্টেশন ও মেশিনারি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।” পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “দেবীপক্ষে প্রবল বৃষ্টিতে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েক জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি কোনও ভাবেই আর ঘটতে দেওয়া যাবে না।”
ঘূর্ণিঝ়ড়ের জেরে বুধবার সকাল থেকেই শহরে মাঝারি বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সারা দিনই এই অবস্থা বজায় থাকার সম্ভাবনা প্রবল। হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে দমকা হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে। পরিস্থিতি বিবেচনায় মাছ ধরার নৌকাগুলিকে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা খুব বেশি না হলেও নাগরিক নিরাপত্তা এবং জলনিকাশের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কলকাতা পুরসভা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের বক্তব্য, “সতর্কতাই সুরক্ষা।” তাই এ বার বৃষ্টি নামলেই যেন শহর জলমগ্ন না হয় — সেই লক্ষ্যেই পুরসভা এখন তৎপর ও প্রস্তুত।