• পুজোর কাজে দূষণ কী ভাবে, উঠে এল সমীক্ষায়
    আনন্দবাজার | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • প্রতিমায় রঙের কাজ চলছে। অথচ শিল্পী মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সিসাযুক্ত রঙের সূক্ষ্ম কণা তাঁর নাকে ঢুকছে। আবার, শোলার সরবরাহ নেই। তাই ডাকের সাজের প্রতিমার জন্য দেদার ব্যবহার হচ্ছে থার্মোকল।

    উৎসবের সময়ে একটি সমীক্ষা চালিয়ে এমনই নানা তথ্য উঠে এসেছে ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভি ই সি সি)-র বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্বচ্ছ উৎসব’ প্রকল্পের আওতায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর অবধি প্রতিমা শিল্পী, পুজো উদ্যোক্তা-সহ দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত নানা পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিল ভি ই সি সি। তারা জানিয়েছে, পুজোর প্রস্তুতি থেকে বিসর্জন পর্যন্ত কী ভাবে দূষণ হয় এবং কী ভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন, সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

    প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা সুমিত সোম মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কলকাতা ডিরেক্টরেট এবং একটি বেসরকারি সংস্থা এই সমীক্ষায় যুক্ত ছিল। পুজোর আগে এবং‌ পরে গঙ্গার জলের নমুনা সংগ্রহ করে গুণগত মান পরীক্ষা করানো হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধিকর্তার কথায়, ‘‘আগামী বছরেও এই সমীক্ষা চলবে। তখনও জলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ বারের ফলাফলের সঙ্গে কতটা ফারাক হচ্ছে, তা তুলনা করলে বোঝা যাবে মানুষ কতটা পরিবেশ সচেতন হয়ে পুজো করছেন।’’ ভি ই সি সি জানাচ্ছে, তারা প্রতিমা শিল্পী-সহ পুজোর সঙ্গে জড়িত মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত দূষণ নিয়ে সচেতনতার প্রচার শুরু করেছে।

    সংস্থার যুগ্ম-সচিব সুমন গুহের (স্বচ্ছতা কমিটি) কথায়, ‘‘শিল্পী মাস্ক ছাড়া রং করছেন। তিনি জানেনই না, কী ভাবে সিসা তাঁর শরীরে ঢুকছে। মেদিনীপুরের একটি পুজো মণ্ডপ জুড়ে প্লাস্টার অব প্যারিসের কাজ হয়েছে। যা মাটির দূষণের জন্য যথেষ্ট।’’ ভি ই সি সি জানাচ্ছে, কী ভাবে দূষণ এড়ানো যায়, তা নিয়ে সচেতন নন সিংহভাগ মানুষ। আগামী বছর থেকে পুরোহিতদের প্রশিক্ষণে দূষণ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিশেষ পাঠ থাকবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)