• বাজারে গিয়েছিল কিশোরী! হঠাৎ চার পাষণ্ড এসে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে চলল ধর্ষণ, হাড়হিম কাণ্ড এই রাজ্যে ...
    আজকাল | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহরে আবারও ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা। অভিযুক্ত চার যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদে। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন ২৭ অক্টোবর ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর অভিযুক্তরা তাকে তার বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়।

    ঘটনার পর নির্যাতিতার দিদি থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তার বোন সেক্টর ১৮-এর বাজারে গিয়েছিল। কিন্তু বেশ খানিক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে বাড়ি ফেরেনি দেখে পরিবারের সকলে চিন্তায় পড়ে যায়। অনেক অপেক্ষার পরও সে বাড়ি ফেরেনি দেখে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। দীর্ঘ চেষ্টাতেও তার সন্ধান মেলেনি।

    অভিযোগপত্রে ওই দিদি আরও জানিয়েছেন, "২৭ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ আমার বোন বাড়ি ফেরে। এরপরই সে জানায় যে আগের দিন সন্ধ্যায় চার যুবক তাকে গাড়ি থেকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। তারা একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে তাকে গণধর্ষণ করেছে।"

    এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার ফরিদাবাদ থানায় চার অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংবিধান এবং পকসো আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

    থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (এসএইচও) বিষ্ণু মিত্তর জানিয়েছেন, "নির্যাতিতা এখনও বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি এবং সেক্টর ১৮ বাজারের আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।"

    প্রসঙ্গত, ধরা পড়ল প্রায় পাঁচ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরে বেড়ানো বিজেপি বিধায়কের ভাইপো! দুর্গাপুরের কাঁকসার নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ভাইপো সহদেব ঘড়ুইকে মঙ্গলবার সকালে রাজবাঁধ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ও কাঁকসা জুড়ে।

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ৫ই মে। কাঁকসা থানায় দায়ের হয়েছিল এক নাবালিকার ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল ওঠে বামনাবেড়া এলাকার বাসিন্দা সহদেব ঘড়ুইয়ের দিকে। যিনি বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

    অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। তদন্তে নেমে পুলিশ বারবার তল্লাশি চালালেও কোনো খোঁজ মিলছিল না অভিযুক্তের। পাঁচ বছর ধরে জায়গা পাল্টে পাল্টে গা ঢাকা দিয়ে ছিল সহদেব।

    আদালতের তরফে একাধিকবার হাজিরার নির্দেশ জারি হলেও সে ছিল অধরা। অবশেষে কাঁকসার রাজবাঁধ থেকে মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। পরে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

    এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বর-এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, 'ছেলেটি ত্রিপুরায় লুকিয়ে ছিল বলে শুনেছি। পুলিশ ধরেছে। আমি বিরোধী দলনেতাকে বলব দুর্গাপুরে এক ধর্ষণ কাণ্ডে মঞ্চ বেঁধে ভাষণ দিচ্ছিলেন। আজ আমরা মঞ্চ তৈরি করব. আসুন ভাষণ দিয়ে যান।'

    অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, 'পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আদালত বিচার করবে। এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। প্রায় কুড়ি বছর ধরে আমরা আলাদা থাকি। গ্রামের বাড়িতে বছরে এক আধবার যাই। খোঁজ নিয়ে যেটা জেনেছি মেয়েটির সঙ্গে সহদেবের প্রেম ছিল। তার পরে কী হয়েছে জানা নেই। প্রেমের এই কথা গ্রামের সকলেই জানে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আদালত বিচার করবে। এর থেকে বেশি আমি কিছু বলব না।'

    এদিকে ধৃত সহদেব ঘড়ুইকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে দাবি করে. তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ধর্ষণ মামলায় বড় মোড় ঘটে সম্প্রতি। ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকেই শনাক্ত করেন নির্যাতিতা।

    আদালতের নির্দেশে কিছুদিন আগে জেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই শনাক্তকরণ পর্ব হয়। যেখানে এই মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে নির্যাতিতা একে একে শনাক্ত করেন বলে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।  

    এই বিষয়ে ওই সূত্রটি জানায়, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আরও ২০ জনের সঙ্গে দাঁড় করানো হয়। তাদের মধ্যে থেকেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আলাদা করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই শনাক্তকরণের পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর মামলায় আরও গতি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    গত ২২ অক্টোবর দুর্গাপুর মহকুমা আদালত এই শনাক্তকরণের নির্দেশ দেয়। ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৬ জনের মধ্যে একজন নির্যাতিতার সহপাঠী। যেহেতু সে আগে থেকেই নির্যাতিতার পরিচিত সেজন্য তাকে বাদ দিয়েই বাকি পাঁচজনকে শনাক্তকরণের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযুক্তরা সকলেই আপাতত জেল হেফাজতে আছে।

     
  • Link to this news (আজকাল)