অমরাবতী, ২৯ অক্টোবর: তীব্র ঘূর্ণিঝড় মন-থা গতকাল, মঙ্গলবার রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে এটি শক্তি হারাচ্ছে। আপাতত সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নারাসাপুরের থেকে ৫০ কিমি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে, মছলিপত্তনম থেকে ৫০ কিমি উত্তরপূর্বে ও কাকিনাড়া থেকে ৯০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ও আগামী ৬ ঘণ্টায় দুর্বল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বহু জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট রয়েছে। ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে স্থলভাগ দিয়ে যাচ্ছে মন-থা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কৃষ্ণা ও দুই গোদাবরী জেলায়। নিচু এলাকায় জমছে জল। মন-থা’র প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসীমায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার, জখম ২। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে কাঁচা বাড়ি, উপড়েছে প্রচুর গাছ। বিভিন্ন জেলায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে প্রাণহানি ঠেকানো গিয়েছে।প্রশাসনের তৎপরতায় সাইক্লোন সেন্টার কিংবা ত্রাণ শিবিরে আগেই নিয়ে আসা হয়েছে উপকূল ও উপকূলবর্তী এলাকায় থাকা মানুষদের। মন-থা’র জেরে বিশাখাপত্তনম এয়ারপোর্টে ৩২টি, তিরুপতি থেকে চারটি ও বিজয়ওয়াড়া থেকে ১৬টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। গতকাল, মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২০টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৪৫ কোম্পানি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সঙ্গে রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।