সংবাদদাতা, বেলদা: ওড়িশার সীমানা লাগোয়া লক্ষণনাথ টোলগেটের কাছে জলেশ্বর এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কলকাতাগামী যাত্রীবাহী বাস। এই দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। গুরুতর জখম ৯ জন বাসযাত্রী। জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটি ওড়িশা থেকে কলকাতার বাবুঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলেশ্বর থানার অন্তর্গত লক্ষণনাথ টোলগেটের কাছে একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে বাসের অন্তত ৯ জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। মৃত্যু হয়েছে বাসের খালাসি ও চালকের। জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। গতকাল, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাসটি ওড়িশার থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতাতে ফিরছিল।মাঝপথেই লক্ষণনাথ টোলগেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে আচমকাই সজোরে ধাক্কা মারে বাসটি। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসের সামনের অংশটি। বাসের সামনের অংশে আটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসের খালাসি ও চালকের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই বাসের চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এর জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই গতকাল, রাতে সেখানে ছুটে যান পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রথমে সামনের অংশ থেকে বাসের খালাসি ও চালকের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তারপরই একে একে জখম যাত্রীদের সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস থেকে বের করে আনা হয়। এই দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সহযোগিতায় যানজট মুক্ত হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস ও লরিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। বাসের মৃত চালক ও খালাসির পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। চালকের নাম মীর আব্দুল রহিম(৩৯) বাড়ি ওড়িশার কটকের সালেপুরে। খালাসির নাম নুরুসিং কাঠুয়া(৪০), বাড়ি মহঙ্গাতে।