প্রসেনজিত্ মালাকার: দুবরাজপুরে খোঁজ মিলেছে এমন এক ভাই-বোনের, যাদের নাম শুনে অবাক হচ্ছেন সবাই। ভাইয়ের নাম নরেন্দ্র মোদী, আর দিদির নাম মমতা আগরওয়াল মোদী। ফলে এলাকায় এখন মজা করে সকলে বলছেন—“যা রাজনৈতিকভাবে সম্ভব নয়, তা দুবরাজপুরে সত্যি হয়েছে!”
১৯৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র কুমার মোদী। সেই সময় তাঁর জ্যাঠামশাই ভাইপোর নাম রাখেন নরেন্দ্র। দুবরাজপুরের নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমার জন্মের সময় প্রধানমন্ত্রী অত জনপ্রিয় ছিলেন না। তবে এটা আমার সৌভাগ্য যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার নামের মিল আছে। তবে আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই'। তাঁরা আসলে রাজস্থানের গুড্ডা অঞ্চলের বাসিন্দা।
দুবরাজপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী নরেন্দ্র মোদী পেশায় মুদিখানার ব্যবসায়ী। তিন বোনের মধ্যে এক দিদির নাম মমতা। তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, চায়ের দোকান বা বাজারে গেলেই নরেন্দ্র মোদিকে মজা করে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে ডাকা হয়। দোকানেও লোকজন তাঁকে বসতে দেয়, বলেন—“নরেন্দ্র মোদী এসেছেন, জায়গা দিন।”
নরেন্দ্র মোদীর মতে, নামটি তাঁর জেঠু রেখেছিলেন বহু বছর আগে, যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কেউই আলোচনায় আসেননি। সম্পূর্ণ কাকতালীয় এই নামের মিল এখন তাঁকে এলাকায় জনপ্রিয় করে তুলেছে। দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। মাঝে মাঝে ঝগড়া হলেও উৎসব-অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় আর উপহার দেওয়া-নেওয়া লেগেই থাকে।
দোকানের কর্মচারীদের কাছেও নরেন্দ্র মোদী খুব প্রিয়। তাঁরা বলেন, এই ‘নরেন্দ্র মোদী’ যেমন সৎ ও হাসিখুশি মানুষ, তেমনই সবার আপন। তাই এলাকার মানুষ রসিকতার ছলে বলেন—“দুবরাজপুরেই দেখা মিলল আসল মমতা আর মোদীর।”